নীতীশ কুমার ও অখিলেশ যাদব। ফাইল চিত্র।
বিহার ছেড়ে নীতীশ কুমারের চোখ এ বার দিল্লি! সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে শুধু যে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার কাজে নেমেছেন নীতীশ, তাই নয়, সব ঠিকঠাক চললে লোকসভা ভোটে প্রার্থীও হতে পারেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারেন জেডি়ইউ নেতা।
একটি সূত্র বলছে, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ইতিমধ্যেই নীতীশকে জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের যে কোনও লোকসভা কেন্দ্রে তিনি প্রার্থী হলে সমর্থন জানাবে তাঁর দল। তবে ফুলপুরের জেডিইউ কর্মীরা চাইছেন, সেখানেই প্রার্থী হোন নীতীশ। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেন্দ্র বারাণসী থেকে ফুলপুরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মোদীর সঙ্গে টক্কর নিতে গেলে নীতীশের ওই কেন্দ্রেই দাঁড়ানো উচিত।
রবিবারই জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি লালন সিংহ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের কোনও আসনে প্রার্থী হতে পারেন নীতীশ কুমার। ফুলপুরের পাশাপাশি আম্বেদকর নগর এবং মির্জাপুরেও প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও লালন সিংহ এও জানিয়ে রাখেন, যে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে নীতীশ প্রার্থী হবেন কিনা, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এখনই কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করার নেই। নীতীশ কুমার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া হবে। কিন্তু এর মধ্যেই মির্জাপুর এবং আম্বেদকর নগরে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে নীতীশকে। যে ভাবে তিনি বিরোধী দলগুলিকে এক সূত্রে বাঁধার চেষ্টা করছেন, তা দেখেই দলীয় কর্মীরা তাঁকে লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।’’
লালনের মতে, দেশে সব থেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এখন সে রাজ্য থেকে বিজেপির ৬৫ জন সাংসদ রয়েছেন। ২০২৪ সালে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা যদি উত্তরপ্রদেশে ১৫-২০-এর মধ্যে বেঁধে ফেলা যায়, তাহলে চাপে পড়বে এনডিএ। সে কারণেই বিরোধীদের একজোট হওয়াটা দরকার।