বনকর্মীদের চেষ্টায় নালা থেকে উদ্ধার হাতির শাবক। —প্রতীকী ছবি
রাস্তার পাশে নালায় পড়ে গিয়েছিল বাচ্চা হাতি। চেষ্টা করেও তুলতে পারেনি দলের বড়রা। তবে হাল ছাড়েনি। ১৩০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দাঁড়িয়ে পড়ে ২০টি হাতির পাল। শেষ পর্যন্ত বনকর্মীরা এসে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন শাবককে। ছত্তীসগঢ়ের কোরবা জেলার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার রাতে মাদাই অঞ্চলে জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিল হাতির দলটি। তখনই রাস্তার পাশে নালায় পড়ে যায় শাবকটি। নালার অর্ধেক জলপূর্ণ ছিল। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, প্রথমে হাতির দল শিশুটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করে। লাভ হয়নি। এর পরেই কাঠঘোড়া-ছোটিয়া জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ে। থমকে যায় যান।
১৩০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নালায় পড়ে গিয়েছিল হাতিটি। —ছবি টুইটার থেকে।
বন দফতরে খবর দেন স্থানীয়েরা। ছুটে আসে ২০ জন বনকর্মীর একটি দল। সঙ্গে ছিল মাটি খোঁড়ার দু’টি ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র। কিন্তু হাতির দলের কাছে যাওয়ার সাহস দেখায়নি দলটি। শেষে ধীরে ধীরে নালায় পড়ে থাকা শিশুটির কাছে এগিয়ে যান তাঁরা। এ সব দেখে সরে যায় হাতির দল। তখন ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র দিয়ে মাটি খোঁড়া শুরু করেন বনকর্মীরা। এর পর হাতিটির গলায় দড়ি পরিয়ে টেনে তোলা হয়। নালা থেকে বেরিয়ে মায়ের কাছে চলে যায় হাতিটি। দেখে হাততালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত লোকজন।
চলতি সপ্তাহে ছত্তীসগঢ়ের যশপুরে এ ভাবেই দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এক মাসের একটি হাতির শাবক। তাকে যদিও আর দলে ফেরায়নি বাকিরা। বনকর্মীরা অনেক চেষ্টা করলেও তাকে নিতে অস্বীকার করে হাতির দলটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মা হাতি যদি বোঝে শিশুটি আর বাঁচবে না, তা হলে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। অনেকে আবার মনে করেন, মানুষের সংস্পর্শে আসা শাবককেও দলে ফেরাতে চায় না হাতিরা।