সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়া।
গ্রেফতার হওয়া দিল্লির সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়ার মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্ত্রী জাগিশা কানোজিয়া। আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে মঙ্গলবার।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘ভাবমূর্তি’ কালিমালিপ্ত করার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হয় প্রশান্তকে। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরও এক সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও মালিককে।
প্রশান্তের স্ত্রী জাগিশার অভিযোগ, ওই দিন যে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করতে এসেছিলেন তাঁরা সঠিক পদ্ধতি মেনে গ্রেফতার করেননি। জাগিশার দাবি, ওই গ্রেফতারি পুরোপুরিই বেআইনি। ওই দিন রাতে ঠিক কী হয়েছিল সে ঘটনাও জানান তিনি।
জাগিশা বলেন, “শনিবার দুপুরে সাধারণ পোশাকের দু’জন লোক পশ্চিম দিল্লির বিনোদ নগরে আমাদের আবাসনে আসেন। প্রশান্ত তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘরে ফিরে প্রশান্ত জানায় জামাকাপড় বদলাতে এসেছে সে, আগন্তুকদের সঙ্গে তাঁকে যেতে হবে।” পরে পুলিশ তাঁকে জানায়, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রশান্তকে লখনউয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানায় পুলিশের এক এসআই প্রশান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হন প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: কুপিয়ে ঠাকুমাকে খুন, বাবা-মাকে জখম করে ফেসবুক লাইভ যুবকের
জাগিশার আইনজীবী শাদান ফারাসাত আদালতকে জানান, প্রশান্তের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে তা পুরোপুরি অবৈধ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও সমন জারি করা হয়নি বলেও জানান ফারাসাত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানহানির মামলায় কোনও এফআইআর-এর প্রয়োজন হয় না। এই মামলা দেখার কথা ম্যাজিস্ট্রেটের, পুলিশের নয়। এফআইআরে যে অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। ”
সাংবাদিকদের গ্রেফতার নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে ‘দ্য এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তাতে আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ দিকে, রবিবার রাতে গোরক্ষপুর থেকে আরও দুই সাংবাদিককে একই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ।