—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একের পর এক আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার। সেই আবহে শনিবার বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অপরাধে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লির উত্তম নগর এলাকার বাসিন্দা শুভম উপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। কেন এমন বোমাতঙ্ক ছড়ালেন তিনি? জেরায় সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভম যা বললেন, তা শুনে তাজ্জব তদন্তকারীরা। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছেন, টিভি দেখেই প্রথম বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি!
বছর পঁচিশের শুভম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কাজকর্ম তেমন কিছু করেন না। তদন্তকারী দলের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানো সম্পর্কে টিভিতে যে খবর দেখানো হচ্ছে, তা দেখেই অভিযুক্ত যুবক পরিকল্পনা করেছিলেন। দিল্লিগামী বিমানে বোমা হামলার ভুয়ো হুমকি দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন শুভম। কিন্তু তিনি বেনামি এক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন। সেই অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে শুভমের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের ডিসিপি ঊষা রঙ্গানি সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’কে জানিয়েছেন, শুভম সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। মজার ছলেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। মূলত ‘প্র্যাঙ্ক’ হিসাবে পোস্ট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন শুভম। তাঁর বিরুদ্ধে অসামরিক বিমান চলাচল সুরক্ষা আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে প্রায় ৩০০টি বিমানে এমন বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বোমাতঙ্ক রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ করলেও তা আটকানো যাচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে, যার জেরে একাধিক বিমান বাতিল হয়েছে। কোনওটির যাত্রাপথ বদল হয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে, সবই ভুয়ো বোমাতঙ্ক।