মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬ জুলাই দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই নবান্ন সূত্রে খবর ছিল, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে রাজধানী সফরে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু সেই সময় দিনক্ষণ জানা যায়নি। কিন্তু তৃণমূলের সংসদীয় দল সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২৬ তারিখ দিল্লি যেতে পারেন মমতা। ওই দিন বিকেল তিনটের বিমানে কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হতে পারেন তিনি। ২৭, ২৮ ও ২৯ তারিখ দিল্লিতেই থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের যাবতীয় কর্মসূচি সেরে ৩০ তারিখ রাজধানী থেকে কলকাতায় ফিরতে পারেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘প্রতি বছর সংসদের অধিবেশন শুরু হলে আমি এক বার দিল্লি যাই। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ বার ভোটে জেতার পরে যাওয়া হয়নি। এক বার দিল্লি যাব। তবে, কবে যাব সেটা এখনও ঠিক করিনি।’’ এর পরেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘এ বার গিয়ে সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করব।’’
সূত্রের খবর, এ বারের সফরে সময় পেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। সাক্ষাৎ করতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গেও। এছাড়াও, শরদ পওয়ার, অরবিন্দ কেজরীবাল, অখিলেশ যাদব-সহ একঝাঁক বিজেপি বিরোধী নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। সফরের একদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে যাবেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন যখনই দিল্লিতে যান, তখনই সংসদেও যান তিনি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে ধরাশায়ী করে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। মোদী-শাহ সহ সর্বভারতীয় বিজেপি-র বাংলা দখলের প্রয়াসকে রুখে দিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের অন্যতম মুখ হয়েছে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই দিল্লি সফর থেকেই ২৪-এর ভোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করতে পারেন মমতা। তার আগেই অবশ্য তৃণমূল নেত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস সহ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন বলেই খবর।