অনেক সময় ‘সংস্কার’ বশে অনেক কিছুই আমরা মেনে থাকি। এবং এর মধ্যে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো কারণ না জেনেই মেনে চলা হয়। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে সেই বিষয়গুলোকেই আমাদের সমাজ মান্যতা দিয়ে এসেছে। এমন কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে একটি হল কুকুরের কান্না।
রাত হলে কুকুরের কান্না অনেকেই শুনেছেন। পাড়ায় যখন কুকুর কাঁদে, বলা হয় কোনও অশুভ কিছু ঘটতে চলেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই ধারণাই বয়ে চলেছে।
দাদু, ঠাকুমা বা আমাদের গুরুজনদের কাছ থেকে এটা শুনে অভ্যস্ত যে কুকুর কাঁদা মানে কারও মৃত্যু আসন্ন। এ তো গেল ধারণা বা ‘সংস্কার’।
এ ব্যাপারে জ্যোতিষীরা কী বলেন? তাঁদের মতে, কুকুর তখনই কাঁদে যখন আশপাশে কোনও ‘অশরীরী আত্মা’ ঘুরে বেড়ায়। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, সেটার উপস্থিতি টের পায় কুকুররা।
তাই তাদের কাছেপিঠে ‘আত্মা’ ঘুরে বেড়ালেই কুকুর নাকি কাঁদতে শুরু করে। আর কুকুর কাঁদলেই লোকজন তখন তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করে।
এ তো প্রচলিত ধারণা বা জ্যোতিষীদের কথা। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলছে, একটু দেখে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞান বলছে, কুকুর কাঁদে না। ওরা ও ভাবে ডাকে। রাতে এ ভাবে আওয়াজ করে দূরে তার সঙ্গীদের কাছে কোনও বার্তা পৌঁছনোর চেষ্টা করে। এ ছাড়া এ ভাবে আওয়াজ করে তার অবস্থানটা সঙ্গীদের জানায়।
দ্বিতীয়ত, ওরা প্রাণী। ওদেরও চোট-আঘাত লাগতে পারে। ব্যথা হতে পারে। শরীরে কোনও কষ্ট হতে পারে। সেই পরিস্থিতিকে জানান দিতেই ও ভাবে আওয়াজ করে সঙ্গীদের ডাকে।
তৃতীয়ত, কুকুররা একা থাকতে পছন্দ করে না। তাই যখনই একাকিত্ব বোধ করে, তখনই সঙ্গীদের ও ভাবে আওয়াজ করে ডাকে।