—ফাইল চিত্র।
অবৈধ গো হত্যা রুখতে যদি গরু পাচার নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে গো রক্ষার নামে মানুষ খুন করছে যারা, তারা নিষিদ্ধ হবে না কেন? শুক্রবার স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানিতে দেশের ছয় রাজ্যের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে ওই ছয় রাজ্যকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কেন গোরক্ষকদের নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না কেন্দ্রের কাছেও তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং এএম খানউইলকর।
উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র— বিজেপি শাসিত এই ছয় রাজ্যে গো রক্ষার নামে স্বঘোষিত গোরক্ষকেরা দলিত, সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার থেকে শুরু করে মানুষ খুন পর্যন্ত করে আসছে, এমন অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। গোরক্ষকদের বাহিনীকে বেআইনি ঘোষণা করতে সমাজকর্মী তহসিন পুনাওয়ালা এবং তাঁর ভাই শাহজাদ ২০১৬ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সেই মামলারই এ দিন শুনানি ছিল।
আরও পড়ুন: হঠাৎই বিপরীত হাওয়া, সিরিয়ায় ‘মুখোমুখি সমরে’ আমেরিকা আর রাশিয়া
মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে গোরক্ষকদের অত্যাচারের ১০টি উদাহরণ তুলে ধরেন। ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গো মাংস খাওয়ার অভিযোগে মহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে মারা থেকে শুরু করে সপ্তাহ খানেক আগে অবৈধ গরু পাচারের জন্য রাজস্থানের আলওয়ারে পেহলু খানকে খুনের মতো প্রসঙ্গ বিচারপতিদের সামনে আনেন তিনি। বলেন, ‘‘তথাকথিত গোরক্ষকদের অত্যাচার দিন দিন এতটাই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়েছেন। এই সমস্ত গোরক্ষকরা সমাজের ক্ষতি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তাই সমাজকে বাঁচাতে এদের নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত।’’
আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনার পর দেশের ওই ছয় রাজ্যকে নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।