মোহন ভাগবত। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী বিতর্কে প্রথম বার মুখ খুলে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার কী প্রয়োজন! মন্দির-মসজিদ বিতর্কে পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাস্তা খোঁজার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
রাম মন্দিরের পরে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোপাঠ করা এবং মথুরার শাহি ইদগা সরানোর দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ নাগপুরে এক সভায় ভাগবত বলেন, ‘‘আমাদের কিছু জায়গা (ধর্মীয় স্থান) নিয়ে বিশেষ ভক্তি থাকতে পারে। কিন্তু তা বলে রোজ নতুন নতুন বিষয় কেন জাগিয়ে তোলা হবে? আমাদের আদৌ বিতর্ক বাড়ানো উচিত নয়। জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে প্রত্যেক মসজিদেই কেন শিবলিঙ্গ খোঁজা হবে?’’
জ্ঞানবাপী প্রসঙ্গে সঙ্ঘপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘ইতিহাসকে পাল্টানো যায় না। আজকের কোনও হিন্দু বা মুসলিম এটা তৈরি করেননি। অতীতে হয়েছিল। বহিরাগত আক্রমণকারীদের মাধ্যমে ইসলাম এ দেশে এসেছিল। দেশের স্বাধীনতাকামীদের মনোবল নষ্ট করতে দেবস্থান ভাঙা হয়েছিল।’’ সকলকে আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বলেছেন তিনি।
জ্ঞানবাপীর পরে হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ কুতুব মিনারে পুজোপাঠ, তাজমহলের প্রকৃত সত্য জানতে চেয়ে সরব হয়েছে। অনেকের মতে, এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হলে সমাজে অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছে বিজেপি। তারা মনে করছে, ভবিষ্যতে প্রায় প্রতিটি সংখ্যালঘু ধর্মস্থানের ঐতিহাসিক সত্য জানতে চেয়ে কেউ না কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হতে থাকেন এবং কাঙ্ক্ষিত ফল না পান, সে ক্ষেত্রে দায় আসবে বিজেপির উপরে। ভাগবত বলেন, ‘‘ওঁরা হয়তো অন্য ধরনের উপাসনা করেন। কিন্তু মুসলিমরা আসলে আমাদেরই মুনি-ঋষি ও ক্ষত্রিয়দের বংশধর।’’
ভাগবতের মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের শশী তারুরের টুইট, ‘এটি গঠনমূলক মন্তব্য। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত পারস্পরিক হানাহানি থেকে বিরত থাকা।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।