পাইকারি বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারও কমেছে। প্রতীকী ছবি।
অবশেষে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এল পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। দেড় বছর পরে তা নামল ১০ শতাংশের নীচে। সেপ্টেম্বরে দেশে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১০.৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরে তা নেমেছে ৮.৩৯ শতাংশে।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের কম ছিল। তবে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তা তেমন কমাল না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। কারণ সার্বিক ভাবে খাদ্যপণ্যের দাম আগের মাসের থেকে খুব বেশি কমেনি। ফলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমার প্রভাব খুচরো বাজারে কতটা পড়বে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে। এখনই স্বস্তির কারণ নেই বলে তাঁদের মত। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, পাইকারি মূল্যসূচক কমায় খুচরো মূল্যসূচকও কিছুটা নীচে নামতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মূলত জ্বালানি, ধাতব ও অধাতব খনিজ, বস্ত্র এবং শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমায় পাইকারি দর কমেছে। সেই সঙ্গে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারও অনেকটা কমেছে। সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১১.০৩ শতাংশ থাকলেও অক্টোবরে তা নেমেছে ৮.৩৩ শতাংশে। তা ছাড়া, এখন শীতের নতুন ফসল বাজারে আসার সময়। তাই যে ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুত করেন, তাঁরা তা বাজারে ছাড়ছেন। পাইকারি বাজারে পণ্যের জোগান বাড়ার প্রভাব পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিতে পড়েছে।