সনিয়া গান্ধী। ফাইল চিত্র।
এত দিন প্রশ্ন ছিল, অশোক গহলৌত কংগ্রেস সভাপতি হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদে কি বদল হবে? তা হলে নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মল্লিকার্জুন খড়্গের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পরে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সামনে নতুন প্রশ্ন, মল্লিকার্জুনের জায়গায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কে হবেন?
উদয়পুর চিন্তন শিবিরের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে মল্লিকার্জুনকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে সভাপতি নির্বাচনে লড়াই করতে নেমেও মল্লিকার্জুনকে দেখে সরে দাঁড়ানো দিগ্বিজয় সিংহের নাম ওই পদের জন্য ভাবা হতে পারে বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। পি চিদম্বরম, প্রমোদ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশের মতো নেতারাও রাজ্যসভায় রয়েছেন। সভাপতি হিসেবে ভাবনার মধ্যে থাকা মুকুল ওয়াসনিকও রাজ্যসভায় রয়েছেন। ফলে তাঁর কথাও ভাবা হতে পারে। তবে যে হেতু দলিত নেতা মল্লিকার্জুন কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন, সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদেও ফের দলিত নেতা ওয়াসনিককে না-ও আনা হতে পারে।
খড়্গের ঘনিষ্ঠ শিবির বলছে, সংসদে বিরোধী দলনেতার পদটি শুধু সংসদের অধিবেশনের সময়েই সক্রিয় হয়। ফলে এই পদটি থাকতেই হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। আর লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীই তো পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে রয়েছেন।
অন্য দিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদের বিষয়ে ৮ অক্টোবরের পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। ওই দিন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি করতে চাইছে না কংগ্রেস। অশোক গহলৌতের উপরে কংগ্রেস হাইকমান্ড ক্ষুব্ধ। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। কিন্তু আগামী বছর রাজস্থান ভোটের আগে গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হলে দলে ভাঙন ধরতে পারে।
কংগ্রেস সূত্রের দাবি, হয় গহলৌতই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, না হলে সচিন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অন্য কারও কথা ভাবা হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ফের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে কংগ্রেস সভাপতিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তুলে দিয়ে প্রস্তাব পাশ করানো হবে। গত সপ্তাহে এই প্রস্তাব পাশের আগেই বিদ্রোহ করেন গহলৌতের অনুগামীরা। গহলৌতকে ভোট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিলে সচিনকে প্রদেশ সভাপতির পদে ফেরানো হতে পারে।