Vinay Kwatra

Vinay Kwatra: পাক থেকে নেপাল, চ্যালেঞ্জ নিয়েই অনন্য ‘দোভাষী’

১ মে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তিনি। এই কোয়াত্রাই ১৯৯৩ সালে করাচির ভারতীয় কনসুলেটে নিযুক্ত হন জুনিয়র অফিসার হিসাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ০৭:০৭
Share:

বিনয় কোয়াত্রা

পাকিস্তানে টালমাটাল সময়ে কনসুলেটের দায়িত্ব সামলানো। নেপালে ভারত-বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে সংহত করে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বিদেশনীতিতে অনভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দোভাষীর কাজে (সরকারি ভাবে নয়) লেগে থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের দিকগুলি তাঁকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া।

Advertisement

এই সবগুলিই ভারতের নতুন বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রার ‘ইউএসপি’। ১ মে হর্ষবর্ধন শ্রিংলার থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তিনি। এই কোয়াত্রাই ১৯৯৩ সালে করাচির ভারতীয় কনসুলেটে নিযুক্ত হন জুনিয়র অফিসার হিসাবে। কিন্তু ছ’মাস পরেই তাঁকে ফিরে আসতে হয় ভারতে। সেই সময়ে ভারতীয় হাই কমিশনের এক কর্মীকে (রাজেশ মিত্তল) তাঁর গাড়ি থেকে বার করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএসআই। অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তিনি আইএসআই-এর গোপন নথি সংগ্রহ করছিলেন। বেশ কয়েক দিন অত্যাচারের পরে তাঁকে ছাড়া হয়। সেই সময়ে করাচির ভারতীয় অফিস বন্ধ করে দেয় বেনজির ভুট্টোর সরকার। কাছ থেকে গোটা বিষয়টি দেখেছিলেন কোয়াত্রা। আবার আরও এক কঠিন সময়ে কাঠমান্ডুতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামলেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পরে কোয়াত্রার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করতেন তাঁর বিভিন্ন দূতাবাসে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তাঁর দোভাষীর কাজও করে দিতেন কোয়াত্রা। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, মোদী মনে করেন, কোয়াত্রা এমন কূটনীতিক, যাঁর নিজস্ব বিশ্বনীতি তৈরি হয়েছে দেশাত্মবোধে ভিত্তি করে। সূত্রের খবর, এই বৈশিষ্ট্যটি এস জয়শঙ্করের মধ্যেও লক্ষ্য করেছিলেন মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement