Nimbooz

Nimbooz: ফ্রুট জুস নাকি লেমোনেড? নিম্বুজ-এর গোত্র ঠিক করতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে

২০১৫ সালে খাবারের একটি সংস্থা ‘নিম্বুজ’-এর গোত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা এটাকে কোনও ভাবেই স্রেফ ফলের রস বলে মানতে রাজি নয়। তাদের পাল্টা দাবি, এটি লেমোনেড।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২২ ১২:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

রোদে অনেক ক্ষণ ঘুরেছেন। একটু তেষ্টা মেটাবেন মনে করছেন। আবার একটু ‘রিফ্রেসমেন্ট’ও দরকার বলে মনে হচ্ছে। এই অবস্থায় দোকানের সামনে দাঁড়াতেই ‘নিম্বুজ’ চোখে পড়তেই চট করে কিনে নিলেন। তার পর সেটি পান করে তেষ্টা মেটালেন। সঙ্গে ‘রিফ্রেসমেন্ট’ও হল। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। ‘নিম্বুজ’-এর সঙ্গে পরিচিত নন, এমন ব্যক্তি খুব কমই আছে। একটি নামী নরম পানীয় সংস্থার প্রোডাক্ট এটি। ‘নিম্বুজ’কে ‘ফ্রুট পাল্প’ বা ‘ফ্রুট জুস-বেসড ড্রিঙ্ক’ হিসেবেই বিক্রি করে নরম পানীয় সংস্থাটি।

কিন্তু ‘নিম্বুজ’ কি স্রেফ ফলের রস? নাকি এটিকে লেমোনেড বলা উচিত? এই বিতর্ক পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায়। শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের উপরই ‘নিম্বুজ’-এর গোত্র ঠিক হবে। একই সঙ্গে কত পরিমাণ শুল্ক ধার্য করা হবে এই প্রোডাক্টের উপর, স্থির হবে সেই বিষয়টিও।

Advertisement

২০১৩-তে বাজারে প্রথম বার আসে ‘নিম্বুজ’। প্রস্তুতকারী সংস্থা এটিকে শুরু থেকেই আসল লেবুর রস বলে দাবি করে আসছে। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ২০১৫ সালে খাবারের একটি সংস্থা ‘নিম্বুজ’-এর গোত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা এটাকে কোনও ভাবেই স্রেফ ফলের রস বলে মানতে রাজি নয়। তাদের পাল্টা দাবি, এটি লেমোনেড। সেই মামলা প্রথমে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে ওঠে। খাবারের সংস্থাটি আবেদন করে যে, ‘নিম্বুজ’কে ফলের রস নয়, লেমোনেড হিসেবেই ঘোষণা করা হোক। কিন্তু আদালত সেটিকে ‘ফ্রুট জুস-বেসড’ পানীয় হিসেবেই রায় দেয়।

ইলাহাবাদ হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেই খাবার সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে। এখন দেখার ‘নিম্বুজ’ গোত্র পরিবর্তন হয় কি না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement