প্রতীকী ছবি।
নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন চলছেই। এ বার হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে নতুন দাবি তুলে ফের দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার আদালতে এক হলফনামা পেশ করে সরকার অভিযোগ তুলেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ চালাকি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই পলিসির অনুমতি নিয়ে গ্রাহক বিরোধী কাজকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সরকার আরও অভিযোগ তুলেছে যে, নিজেদের ডিজিটাল ক্ষমতাকে ব্যবহার করে গ্রাহকদের এই পলিসি গ্রহণ করতে বাধ্য করছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুধু তাই নয় হোয়াটসঅ্যাপ এ বিষয়ে পুশ নোটিফিকেশনও পাঠাচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। আদালতের কাছে সরকার আর্জি জানিয়েছে, এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হোক হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে।
২০২১-এর জানুয়ারিতে নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ। তার পর থেকেই তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। কেন এই পলিসি আনছে তা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। এ ব্যাপারে সরকারও হোয়াটসঅ্যাপের বিরোধিতা করেছে।
প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আকচাআকচি তো ছিলই। তার মধ্যে সরকারের জারি করা নয়া ডিজিটাল আইন সেই টানাপড়েনকে চরমে নিয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে। এ বার কেন্দ্র ফের নতুন করে প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়, দু’পক্ষের টানাপড়েন আরও দীর্ঘতর হল বলে মনে করা হচ্ছে।