প্রতীকী ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপে তেমন কোনও সুরক্ষা ছিল না। কিউআর কোড স্ক্যান করেই ব্যবহার করা যেত এই মেসেজিং অ্যাপ। এমনকি, হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের নম্বর ও তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগও ছিল। এ বার নয়া সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ। কিউআর কোডের পাশাপাশি এ বার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস ডিটেকশন প্রযুক্তিতে যাচাই করতে হবে নিজের অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ইন্টারনেটে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব-এ গেলেই একটি কিউআর কোড আসে। সেই কিউআর কোডের সঙ্গে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের ডেস্কটপ ভার্সনের সঙ্গে সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলেন ডেস্কটপ-ল্যাপটপে ব্যবহার করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ।
নতুন এই সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে কিউআর কোড স্ক্যান করার পরেও আরও একটি ধাপে পরিচয় যাচাই করতে হবে। হয় মোবাইলের স্ক্রিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। অথবা ডেস্কটপে ফেস ডিটেকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোফাইল যাচাই করতে হবে। তার পরেই ডেস্কটপে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বলেই জানিয়েছে মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা।
আগেকার হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপে শুধুমাত্র কিউআর কোড ব্যবহারে প্রায় কোনও সুরক্ষাই ছিল না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এমনকি, গ্রাহকদের ফোন নম্বর-সহ ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। রাজশেখর রাজহরিয়া নামে এক সাইবার নিরাপত্তা গবেষক সম্প্রতি বেশ কিছু স্ক্রিন শট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তাঁর দাবি, ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের নম্বর ও অন্যান্য তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি ওই সব তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে তাঁর দাবি। এর পরেই হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন এবং নয়া এই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত।