মূল বেতনে পরিবর্তন না হলেও বাড়বে ভাতা।
জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুররা ছিলেন সাংসদ, হয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু তাই বলে বেতন কিন্তু আকাশ-পাতাল বদলাবে না। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী একজন সাংসদ এবং মন্ত্রীর মূল বেতন এক। তবে ভাতা বাবদ আয়ে তফাৎ রয়েছে। সেই কারণে, বাংলার চার সাংসদ মন্ত্রী হলেও মাসিক আয় আহামরি কিছু বাড়বে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতনও একজন সাংসদের সমান। কারণ, তিনিও প্রথমে সাংসদ, পরে প্রধানমন্ত্রী। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বদলায় সাংসদদের বেতন ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণ। এখন মূল বেতন ১ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে সংসদীয় এলাকা ভাতা পাওয়া যায় ৭০ হাজার টাকা। অফিস চালানোর খরচ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অফিসের খরচ ২০ হাজার আর কর্মীদের বেতনের জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা।
এই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন কাঠামো এক। এর পরে বদল অতিথি আপ্যায়ন বাবদ খরচে। এই খাতে প্রধানমন্ত্রী মাসে পান ৩ হাজার টাকা। পূর্ণমন্ত্রীরা ২ হাজার এবং প্রতিমন্ত্রীরা ১ হাজার টাকা। সাধারণ সাংসদরা অবশ্য এই খাতে কোনও টাকা পান না।
সর্বমোট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মাসে পান ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। পূর্ণমন্ত্রীরা ২ লাখ ৩২ হাজার এবং প্রতিমন্ত্রীরা পান ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সেই হিসেবে সাংসদ থেকে প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় নিশীথ, শান্তনুদের মাসিক আয় বাড়বে মাত্রই ১ হাজার টাকা। কারণ, এতদিন তাঁরা অতিথি আপ্যায়ন বাবদ মাসে ১ হাজার টাকার ভাতা পেতেন না।
প্রসঙ্গত, গত এক বছর মোদী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্য কিংবা রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালরাও ৩০ শতাংশ বেতন কম পেয়ছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল সাংসদদের বেতনও কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এক বছরের জন্য সাংসদদের মাসিক বেতন কমে হয়ে যায় ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের অতিথি আপ্যায়নের খরচও ৩০ শতাংশ হারে কমেছিল। এর জন্য ১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে পরিবর্তন আনতে একটি অর্ডিন্যান্স আনে মোদী সরকার।