—প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানাতে এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল বলে মোদী বিমান থেকে নামতেই চাননি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরকে পুরোপুরি মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত বলে খারিজ করে দিল বিদেশ মন্ত্রক।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের পক্ষ থেকে আগেই এই খবর ভুল বলে দাবি করা হয়েছিল। আজ ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীও এই খবর ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যম ডেলি ম্যাভেরিক এই বিষয়টি নিয়ে দাবি করেছে যে, তাদের খবরে কোনও ভুল নেই। একই সঙ্গে এর পাশাপাশি ওই সংবাদমাধ্যম অভিযোগ তুলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশের পরে ভারত থেকে তাদের পোর্টালে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। যে কারণে ওই সংবাদমাধ্যমের পোর্টালে ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা এই ঘটনায় মোদী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তুলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল, ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছনোর পরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছেন দেখে মোদী বিমান থেকে নামতে চাননি। অবশেষে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট গেলে তিনি বিমান থেকে নামেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের এই প্রসঙ্গে পাল্টা দাবি, ডেপুটি প্রেসিডেন্টই যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন, তা আগেই ঠিক ছিল।