রাষ্ট্রপতি ভবন। —ফাইল চিত্র
এ দেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির নজির কম নেই। সরকার গঠন নিয়ে টান টান নাটকের পর, সংবিধানের সেই পথ ধরেই মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই ছবি দেখা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার আগে জম্মু-কাশ্মীরেও জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি শাসন কী, কেনই বা ৩৫৬ অনুচ্ছেদ জারি করা হয়।
সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিধান রয়েছে। যে কোনও রাজ্যে জারি করা হতে পারে ৩৫৬। সাংবিধানিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে ৩৫৬ জারির সুপারিশ করেন রাজ্যপাল। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেই একই ঘটনা ঘটেছে। কোনও রাজ্যের বিধানসভা সাংবিধানিক ভাবে ব্যর্থ হলে তবেই ৩৫৬ ধারা জারি হয়। এ সময় কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রশাসন চালাবেন রাজ্যপাল। এর মধ্যে প্রতি ২ মাস অন্তর সংসদের অনুমোদন নিতে হবে। সর্বোচ্চ ৩ বছর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকা সম্ভব। তবে, এ ক্ষেত্রে প্রতি ৬ মাস অন্তর সংসদের অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন। ৩৫৬ জারি হওয়ার পর, তা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতেই। এ জন্য অবশ্য সংসদের সম্মতির প্রয়োজন নেই।
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার ছ’মাস পর নির্বাচন কমিশন নতুন করে ভোটের ঘোষণা করবে মহারাষ্ট্রে। তবে এর মধ্যে মরাঠাভূমে যদি নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয় এবং সেই জোট যদি আস্থা ভোটে উতরে যায় তবে রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজ হয়ে যেতে পারে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এর আগে, মহারাষ্ট্রেই দু’বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। ১৯৮০-র ১৭ ফেব্রুয়ারি ১১২ দিনের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়, তা চলে ওই বছরের ৮ জুন পর্যন্ত। ফের সেই ছবি দেখা যায় ২০১৪-র ২৮ সেপ্টেম্বর। এ দফায় রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ ছিল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই নিয়ে তিন বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল মহারাষ্ট্রে।
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল মহারাষ্ট্রে, সময় দিয়েও ‘কথা রাখলেন না’ রাজ্যপাল
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন: গণতন্ত্রের পরিহাস বলল কংগ্রেস-এনসিপি, এখনও সময় আছে, বললেন উদ্ধব