নীলেশ্বরমের মন্দিরের বিস্ফোরণস্থলে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
কেরলের নীলেশ্বরমের মন্দিরে বাজি প্রদর্শনীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৫৪ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কী ভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মন্দির কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটল!
নীলেশ্বরমের কসরগড় জেলার একটি মন্দিরে সোমবার রাতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে একটি আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। অনুমান, অনুষ্ঠান চলাকালীন আগুন ছিটকে গিয়ে বাজির গুদামে পড়ে। সেই থেকে বিস্ফোরণ। গুদামে আরও প্রচুর পরিমাণে বাজি মজুত রাখা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। কী ভাবে আগুন লাগল, তার তদন্ত করছে পুলিশ। কসরগড়ের পুলিশ সুপার ডি শিল্পা জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল পালন করতে ব্যর্থ। শুধু তা-ই নয়, আতশবাজি প্রর্দশনীর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি গ্রহণ করেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। পদ্ধতিগত কী ত্রুটি ছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান জেলশাসক কে ইনবাসেকর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন কী ভাবে আতশবাজি প্রদর্শনী থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটল। মূল অনুষ্ঠানের জন্য গুদামে প্রচুর পরিমাণ বাজি মজুত ছিল। যার মূল্য কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। তার পুরোটাই ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে মেঙ্গালুরু, কান্নুর এবং কসরগড়ের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেই সব ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রচুর মানুষের ভিড়। আচমকাই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বাজির গুদামে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের অনেকটা এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা।