West Bengal

ঝুলেই বঙ্গের ঝড়-ক্ষতিপূরণ

গত মাসে আমপানের পরে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৪:১৮
Share:

ছবি পিটিআই।

আমপান-ক্ষতিপূরণ পশ্চিমবঙ্গ কবে পাবে, তার দিন ক্ষণ এখনই জানাতে পারছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ৬ জুন দিল্লি ফিরে কেন্দ্রীয় দল রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ পর্যায়ে আরও দু’টি বৈঠক হওয়ার কথা। তার পরে সবুজ সঙ্কেত পেলে অর্থ মঞ্জুর করবে অর্থ মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, লাদাখ পরিস্থিতির কারণে কবে বৈঠকগুলি হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।

Advertisement

গত মাসে আমপানের পরে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর আমপানের ১২ দিনের মাথায় সাত সদস্যের কেন্দ্রীয় দল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যায়। তিন দিন রাজ্যের বিভিন্ন আমপান বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে দলটি। এ দিকে, রাজ্যের পুনর্গঠনে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সূত্রের মতে, রাজ্যের ক্ষতির হিসেব কতটা যুক্তিযুক্ত, তা বুঝতে কেন্দ্রীয় দলটি জিয়ো ট্যাগিং-এর সাহায্য নিয়েছে। বাড়ি ভাঙা, সড়ক, বনসৃজন ও মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে জিআইএস ম্যাপিং-এর তথ্যপঞ্জি মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করেছে কেন্দ্রীয় দলটি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে রাজ্যগুলিকে অর্থ বরাদ্দ করার প্রশ্নে সাধারণত বছরে দু’বার বৈঠক হয়। এক বার বছরের মাঝে (জুন-জুলাই মাসে) ও অন্যটি বছরের শেষে। কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ন্যাশনাল এগ্‌জিকিউটিভ কমিটির সাব কমিটির। যারা মূলত কেন্দ্রীয় রিপোর্ট ও রাজ্যের দাবিদাওয়া বিশ্লেষণ করে ত্রাণের প্যাকেজ ঠিক করে। সেই রিপোর্টকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে বৈঠকে বসে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও যার সদস্য কেন্দ্রীয় অর্থ ও কৃষিমন্ত্রী, নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ। সেই কমিটির সবুজ সঙ্কেতের ভিত্তিতেই রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করে থাকে অর্থ মন্ত্রক।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট জমা পড়লেও, সাব কমিটির বৈঠকের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে অর্থ সাহায্যের বিষয়টি। সাব কমিটি ছাড়পত্র দিলে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ-নির্মলা সীতারামনেরা। তার পরেই বোঝা যাবে আখেরে রাজ্যের জন্য কতটা দরাজ হস্ত হল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement