বিয়েবাড়ির দস্তুর অনুযায়ী কনেপক্ষের কাছে ভিআইপি-সুলভ আচরণ পেয়ে থাকেন বরযাত্রীরা। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
কলাপাতায় তত ক্ষণে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ। একে একে আসতে শুরু করেছে শেষ পাতের পদ। এক দফা পাঁপড় পরিবেশন করে ফিরছিলেন পরিবেশনকারী। ঠিক তখনই খাওয়ার জায়গা থেকে ডাক পড়ল তাঁর। বরযাত্রীদের তলব— ‘এক্সট্রা’ পাঁপড় চাই। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
পরিবেশনকারী বরযাত্রীদের গিয়ে জানিয়ে দেন অতিরিক্ত পাঁপড় দিতে পারবেন না তিনি। কারণ তাঁকে তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুনে অবাক হয়ে যান বরযাত্রীরা। বিয়েবাড়ির দস্তুর অনুযায়ী কনেপক্ষের কাছে ভিআইপি-সুলভ আচরণ পেয়ে থাকেন বরযাত্রীরা। অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায়, অন্যান্য অতিথিদের থেকে আলাদা সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র বরপক্ষের অতিথিদের জন্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার উল্টো আচরণ দেখে চমকে যান তাঁরা। প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা, তার পর গোটা বিষয়টি গড়ায় ধমকাধমকিতে। শেষে কনেপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিই বেধে যায় বরযাত্রীদের। এমনকি, একটা সময়ে দু’পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে থালাবাসনও ছুড়তে শুরু করেন। সেই সংঘর্ষের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী রাকেশ কৃষ্ণন সিংহ। তিনিই ঘটনাটির বর্ণনা দিয়েছেন। রাকেশ লিখেছেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য কেরলের একটি বিয়েবাড়ির দৃশ্য। সেই কেরল, যেখানে নাকি শিক্ষার হার ১০০ শতাংশ। বরের বন্ধুরা অতিরিক্ত পাঁপড় চেয়ে পাননি। তাই দু’পক্ষের মধ্যে মুষ্টিযুদ্ধ বেধে গিয়েছে।’’ সংঘর্ষরত মলায়লীদের ভিডিয়োটির বিবরণে রাকেশ একটি হিন্দি প্রবাদের উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, ‘আরও পাপড় বেলো তোমরা’, হিন্দিতে যার ভাবার্থ— প্রাণপণ লড়ে যাও।