War

War: যুদ্ধই গুরুত্ব পাবে কূটনীতি-কথায়

শনিবারই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মুখোমুখি বৈঠক নয়াদিল্লিতে। দু’দিনের সফরে শনিবার ভারতে আসছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তার পর সোমবার রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে মোদীর ভিডিয়ো বৈঠক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে ইউরোপ এবং কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলির নেতাদের একের পর এক বৈঠক আসন্ন। পরিবর্তিত ভূকৌশলগত কূটনীতি ও অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আলোচনার ‘সিরিজ’ আগামী দিনে ভারতের বিদেশনীতির পথনির্দেশিকা তৈরি করতে পারে বলেই অনুমান।

Advertisement

শনিবারই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মুখোমুখি বৈঠক নয়াদিল্লিতে। দু’দিনের সফরে শনিবার ভারতে আসছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তার পর সোমবার রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে মোদীর ভিডিয়ো বৈঠক।

পরের সপ্তাহে ভারত সফরে আসবেন আমেরিকার রাজনীতি বিষয়ক সচিব ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এবং ব্রিটেনের বিদেশসচিব লিজ় ট্রুস। আমেরিকা এবং ব্রিটেনের দুই কর্তাই বৈঠক করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। মার্চের শেষে এই বৈঠকগুলি হওয়ার কথা। সূত্রের মতে, আগামী দিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সম্ভাব্য ভারত সফরকে পাকা করতেই ট্রুসের আসা।

Advertisement

এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মোদীর জাপান সফরের কথা রয়েছে কোয়াড-এর শীর্ষ মঞ্চে যোগ দেওয়ার জন্য। আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে সেই সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে কথা হবে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়গুলিও নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেতে চলেছে বৈঠকে। রাষ্ট্রপুঞ্জে পশ্চিমের কূটনৈতিক কর্তারা ভারতের উপর ধারাবাহিক চাপ তৈরি করে গিয়েছেন রাশিয়া নিয়ে ভোটাভুটির সময় মস্কোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে। প্রত্যেক বারই ভোটদানে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি।

ভারত মস্কোর থেকে কম দামে অশোধিত তেল কিনতে পারে— এই সম্ভাবনা রটে যাওয়ার পরে নড়ে বসেছে ইউরোপের কিছু দেশ। পশ্চিমের কূটনীতিকরা বলছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে কেউই ভারতকে নিষেধ করতে পারে না। তবে এটা ভারতেরও মনে রাখা উচিত যে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর সে দেশেরও বিরাট বদল আসন্ন। এখনই ৪০টি দেশ রাশিয়া সংক্রান্ত কিছু না কিছু নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement