—প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে যোগব্যায়ামকে পরিচিতি দেওয়ার নেপথ্যে কার ভূমিকা, তা নিয়ে ফের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেস যেখানে যোগব্যায়ামকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার কৃতিত্ব জওহরলাল নেহরুকে দেওয়ার পক্ষপাতী, সেখানে বিজেপির বক্তব্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যই রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগ দিবস পালন করা হচ্ছে— তা দেখেই যে কংগ্রেস নেতারা যোগব্যায়ামকে কটাক্ষ করতেন, তাঁরাই কৃতিত্ব নেওয়ার দৌড়ে নেমে পড়েছেন।
২০১৫ সাল থেকে ২১ জুন তারিখটিকে যোগ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যোগকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চ থেকে এ ভাবে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ায় মূলত মোদীর অবদান রয়েছে বলেই মনে করে থাকে বিজেপি। এ যাত্রায় যোগ দিবসে মোদী নিজেই আজ উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে। সেখানেই যোগব্যায়াম করেন তিনি। মোদীর যোগব্যায়ামের ঠিক আগে জওহরলাল নেহরুর শীর্ষাসন করার একটি ছবি টুইট করে কংগ্রেস। তাতে যোগকে জনপ্রিয় করা এবং জাতীয় নীতির অংশ করার যাবতীয় কৃতিত্ব কংগ্রেস দেয় প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে। ক্ষুব্ধ বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, এ হল গান্ধী পরিবারের কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়ার কৌশল। বিজেপি মুখপাত্র শাহজ়াদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘২০১৯ সালে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে প্রশিক্ষিত কুকুরবাহিনীও যোগাভ্যাস করেছিল বলে রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেছিলেন ‘নতুন ভারত’। আর এখন সেই কংগ্রেসই যোগ দিবসের কৃতিত্ব কেড়ে নিতে ব্যস্ত। বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।’’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘নেহরু যদি সত্যিই যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করে থাকেন, তা হলে এক জন কংগ্রেস নেতাকেও যোগব্যায়াম করতে দেখা যায় না কেন?’’
আমেরিকা সফররত মোদী আজ যোগ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে যোগব্যায়াম কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানকার নর্থ লন-এ হওয়া ওই যোগাভ্যাসের আসরে অংশ নেন রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষ আধিকারিক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিশিষ্টরা। আজ যোগব্যায়াম শুরুর আগে একটি বার্তায় মোদী বলেন, ‘‘যোগের কারণে ভারতের আহ্বানে বিশ্বের ১৮০টি দেশ একত্রিত হয়েছে, যা ঐতিহাসিক। ২০১৪ সালে যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে যোগ দিবসের প্রস্তাব এসেছিল, তখন রেকর্ড সংখ্যক দেশ একে সমর্থন করেছিল। তার পর থেকে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে যোগ।’’ বক্তব্যের শেষে সাদা টি-শার্ট পরে সবুজ মাঠে হলুদ ম্যাট পেতে সকলের সঙ্গে বসে যোগাসন করেন মোদী।