—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০০টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। বোমা রাখার হুমকিতে আতঙ্কিত হয়েছেন যাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সোমবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানালেন, বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র। এই ধরনের হুমকিবার্তা পাঠানোয় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের সংস্থান থাকবে নতুন আইনে। এমনকি মন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মূল চক্রীদের বিমানে ওঠার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জানান, বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৯৮২ সালের আইনে বদল আনার জন্য আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করব না। যদিও অধিকাংশই ভুয়ো হুমকি, তবুও আমরা বিষয়টি আমরা হালকা ভাবে নিচ্ছি না। এই হুমকিকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করছি। যাত্রীদের সুরক্ষাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে।”
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলিতে হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তার মধ্যে ৩০টি বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে শুধু শনিবারেই। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি লন্ডন, জার্মানি, কানাডা এবং আমেরিকা থেকে পাঠানো হয়েছে। ভিপিএন পরিষেবা ব্যবহার করে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
শনিবার বিমান মন্ত্রকের দফতরে বিমান সংস্থাগুলির সিইওদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, হুমকিবার্তা কী ভাবে রোখা যায়, শুধু তা-ই নয়, হুমকিবার্তা পাওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ করা উচিত এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে।