গ্রাফিক: সনৎ সিং।
ভোটের প্রার্থীদের সমস্ত কিছু জানার ‘চূড়ান্ত অধিকার’ ভোটারের নেই। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং পিভি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘একজন প্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবনে কী হচ্ছে তার গভীরে অনুসন্ধান করা কোনও ভোটারের অধিকার নয়। প্রার্থীদের এমন নথিই প্রকাশ করা উচিত, যা ভোটকে প্রভাবিত করে বা করতে পারে বলে মনে হয়।’’
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, প্রার্থীদের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার রয়েছে। প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, এমন বিষয় নিয়ে প্রার্থীরা গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন বলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ। খুব মূল্যবান না হলে প্রার্থীদের নিজেদের বা তাঁদের পরিবারের প্রতিটি অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান দিতে হবে না বলেও সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘একজন প্রার্থীর নিজের বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের পোশাক, জুতো, আসবাবপত্রের মতো জিনিসের হিসাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। যদি কোনও বস্তু খুব মূল্যবান হয় বা ওই বস্তু প্রার্থীর বিলাসবহুল জীবনযাপনকে প্রতিফলিত করে, তখনই কেবল তার উল্লেখ থাকা প্রয়োজন।’’
২০১৯ সালের অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তেজুর নির্দল বিধায়ক করিখো ক্রি-র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস প্রার্থী নুনি তায়ং। তাইয়াংয়ের অভিযোগ ছিল যে, করিখো তাঁর হলফনামায় সম্পত্তি নিয়ে অনেক বিষয় লুকিয়েছেন। নির্বাচন বাতিল করার আবেদনও করেন কংগ্রেস প্রার্থী। এর পর গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন করিখো। মঙ্গলবার সেই মামলাতেই গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানাল শীর্ষ আদালত।