কুয়াশামগ্ন দিল্লি। —ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে কুয়াশার দাপট অব্যাহত বুধবারেও। কয়েক হাত দূরের জিনিসও ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না। বুধের সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকল গোটা রাজধানী। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও চলছে সেখানে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে। আর তার জেরেই ব্যাহত হচ্ছে সড়ক, রেল এবং বিমান পরিষেবা।
বুধবারেও দিল্লি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া মিলিয়ে মোট ১১৫টি বিমানের ওঠানামায় দেরি হয়েছে। প্রভাব পড়েছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির উপরও। কুয়াশার কারণে দিল্লি থেকে ২৫টি দূরপাল্লার ট্রেনও দেরিতে ছেড়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিল্লির পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু এলাকায়। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, রাজধানী ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশায় ছেয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কুয়াশার আস্তরণ সরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে সকালের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় সড়কপথে গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। গৃহহীন মানুষদের ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের উত্তরাংশ কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা। তা ছাড়া উত্তর ভারতের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং তার সংলগ্ন মধ্য ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও কুয়াশার প্রভাব পড়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর রাজস্থান ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা পড়েছে।
মৌসম ভবন থেকে প্রকাশিত বুধবার সকালে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী পঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে শূন্যের ঘরে পৌঁছেছে। উত্তরপ্রদেশের বরৌলি, লখনউ এবং প্রয়াগরাজে দৃশ্যমানতা কমে ২৫ মিটারে পৌঁছেছে। তা ছাড়া রাজস্থানের গঙ্গানগর এলাকায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কাছাকাছি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কুয়াশার দাপট থাকতে পারে।