আখড়ায় বজরং পুনিয়ার (বাঁ দিকে) সঙ্গে কুস্তি লড়ছেন রাহুল গান্ধী। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
হরিয়ানার ঝাঝড় জেলার এক কুস্তির আখড়ায় জমায়েত হয়েছিল প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের। সেখানে হাজির হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁকে দেখে মুখে হাসি ফুটল কুস্তিগিরদের। রাহুলকে নিয়েই মাটিতে গোল হয়ে বসলেন আন্তর্জাতিক পদকজয়ী দেশের তরুণ কুস্তিগিরেরা। সাতসকালে কুস্তির আখড়ায় তাঁদের সঙ্গে কুস্তি লড়তেও দেখা গেল রাহুলকে!
পদ্মশ্রী সম্মান ফেরত দেওয়ার জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী বজরং পুনিয়া। কিন্তু তাঁর দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বজরং। সংসদের বাইরে রাস্তায় নিজের পদ্মশ্রী পদক ছুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। এর পর তাঁর মতোই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন দেশের অন্য কুস্তিগিরেরাও। বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাওয়া পদক ফেরাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। বজরংও জানিয়েছিলেন, যত দিন না যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া তাঁর কুস্তিগির ভাইবোনেরা দেশের সরকারের কাছ থেকে সুবিচার পাচ্ছেন, তত দিন তিনি পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে নেবেন না।
চলছে ‘দঙ্গল’। ছবি: এক্স হ্যান্ডেল।
বুধবার হরিয়ানার ঝাঝড়ে বীরেন্দ্র আর্য আখড়ায় সেই প্রতিবাদেরই জমায়েত চলছিল। বজরং ছাড়াও সেখানে ছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, তারকা কুস্তিগির বিনেশ ফোগত-সহ অনেকেই। সেখানেই এসে হাজির হন কংগ্রেস নেতা রাহুল।
বজরং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘আমাদের কুস্তিগিরদের দিন কেমন ভাবে কাটে, উনি (রাহুল) তা-ই দেখতে এসেছিলেন। আমাদের দৈনিক রুটিন সকাল থেকে কী ভাবে শুরু হয়, আমরা কী ভাবে কুস্তি অভ্যাস করি, সবই দেখলেন। নিজেও আমাদের সঙ্গে কুস্তি অভ্যাস করেছেন।’’
রাহুলকে তুলে ফেললেন পুনিয়া। ছবি: এক্স হ্যান্ডেল।
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ চলছে দেশের কুস্তিগিরদের মধ্যে। ফেডারেশনের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারতীয় কুস্তিগিরেরা। কারণ যাঁকে নিয়ে যাবতীয় সমস্যা, সেই বহিষ্কৃত সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ নতুন প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় সিংহ। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন কুস্তিগিরেরা। তাঁকে অপসারণের জন্যই এর আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন বজরং, সাক্ষীরা। সরব হয়েছিলেন দেশের অন্য কুস্তিগেরেরাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিজভূষণকে সরানো হলেও তাঁরই ঘনিষ্ঠকে বসানো হয় ডব্লুএফআইয়ের মাথায়। তাতে পরিস্থিতির কোনও বদল হবে না বলেই মত বজরংদের। আর এ ব্যাপারে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা।