কাশীর সেই বিতর্কিত এলাকা। ফাইল চিত্র।
বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরের ‘পশ্চিমের দেওয়াল’ এবং ভূগর্ভস্থ ঘরে (তহ্খানা) প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার উপর স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বারাণসীর জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)-কে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেই বারাণসীর জেলাশাসক জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই আদালত-নিযুক্ত তিন পর্যবেক্ষক, এএসআই-র পুরাতত্ত্ববিদ এবং যুযুধান দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুরু হয়ে সমীক্ষা এবং ভিডিয়ো তোলার কাজ।
প্রসঙ্গত, গত বছরই বারাণসী আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, মন্দির এবং মসজিদ চত্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আদালত জানিয়েছিল, এই সমীক্ষার খরচ বহন করার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের। সেই নির্দেশ মেনে সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষাও হয়। কিন্তু মসজিদের অন্দরের ‘পশ্চিমের দেওয়াল’ এবং ‘তহ্খানা’ও পুরাতত্ত্ববিদের সমীক্ষার আওতায় পড়বে কি না, রায়ে তার স্পষ্ট উল্লেখ ছিল না বলে মসজিদ কমিটির দাবি। বৃহস্পতিবার সে বিষয়ে স্পষ্ট রায় দিয়েছে জেলা আদালত।
প্রসঙ্গত, ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’-এর তরফে আইনজীবী হিসেবে বারাণসীর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজয়শঙ্কর রস্তোগী। তাঁর আবেদন, জ্ঞানবাপী মসজিদ যে জমিতে গড়ে উঠেছে, তা আদতে হিন্দুদের। সুতরাং সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ওই আইনজীবীর আর্জি, ১৬৬৪ সালে মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব দু’হাজার বছরের পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে গড়ে তোলেন মসজিদ। মসজিদে ‘হিন্দুত্বের ছাপ’ খুঁজতে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার দাবি জানান তিনি। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের ‘দেবদেবীর মূর্তি’ আছে দাবি করে সেগুলি পুজো করার অনুমতি চেয়ে ২০২১-এ আদালতে একটি আবেদন করেন পাঁচ মহিলাও।