প্রতীকী চিত্র।
স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সন্দেহে বাড়িতেই গোপন ক্যামেরা লাগালেন এক মহিলা। আর তার জেরে ওই মহিলা নিজেই গ্রেফতার হয়ে গেলেন। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক মহিলার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছেন। পুণেতে এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে।
পুণের ওই দম্পতির মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। মহিলার সন্দেহ ছিল তাঁর স্বামী অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তাই তিনি প্রমাণ জোগাড় করতে, নিজেদের বাংলোতে গোপন ক্যামেরা ইনস্টল করেন। সেই ক্যামেরাতে সত্যিই স্বামী ও স্বামীর বান্ধবীর মধ্যে ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু দৃশ্য ধরা পড়ে।
গোটা ঘটনাটি সামনে এসেছে পুণের সাঙ্গভি থানা অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর। সিনিয়র ইন্সপেক্টর (অপরাধ) অজয় ভোঁসলে জানিয়েছেন, বছর তেত্রিশের এক মহিলা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৪, ৫০৭, ১২০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, ওই মহিলার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হয়েছে। ওই মহিলা যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁরা হলেন, আইনজীবী অভিজিত্ সারওয়াতে তাঁর মহিলা মক্কেল (যিনি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন নিজেদের বাংলোয়) ও এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : এমআরআই মেশিনে রোগীকে ঢুকিয়ে ভুলে গেলেন টেকনিশিয়ান! তার পর...
সিনিয়র ইন্সপেক্টর অজয় ভোঁসলে জানিয়েছেন, অভিযোগকারী মহিলার দাবি, ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। যিনি গোপন ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন সেই মহিলার আইনজীবী অভিজিত্ সারওয়াতে তাঁর কাছে টাকা চাইছিলেন। টাকা না দিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব ভিডিয়ো পোস্ট করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। যিনি গোপন ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন বাংলোতে, ওই মহিলাও তাঁর স্বামীকে ভিডিয়ো দেখিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের পাশাপাশি প্রচুর টাকা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ভুতুড়ে হুইলচেয়ার’
সোমবার থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর গ্রেফতার হন অভিযুক্ত মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনজীবী অভিজিত্ সারনরওয়াতের দাবি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।