ভেঙে ফেলা হচ্ছে কোচির ২টি বিল্ডিং। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেরলের কোচির দু’টি ১৮ তলা বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হল। আরও দু’টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হবে। চারটি বিল্ডিং অন্তত ৩৫০টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছিল। বসবাস করতেন প্রায় ২৪০টি পরিবার। বিল্ডিং ধ্বংস করার আগে তাদের সরিয়ে দেয় কেরল প্রশাসন।
সমুদ্র উপকূল এলাকায় নির্মাণের নিয়ম না মেনেই এই চারটি বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল। এই অভিযোগে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। চার মাস আগে সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় কোচির মারুদু এলাকার এই বিল্ডিংগুলি ভেঙে ফেলার।
বিল্ডিং ভাঙার আগে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তারপর বিল্ডিং থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয়দের। তারপর ‘আলফা সেরেনা’ ও ‘এইচ২ও হোলিফেথ’ নামের টুইন-টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়। গোটা প্রক্রিয়া কেরল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হয়। বিল্ডিং ভেঙে ফেলার সেই ভিডিয়ো সংবাদ সংস্থা এএনআই সহ অনেক ব্যক্তিগত হ্যান্ডলে পোস্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুহূর্তে ১৬ হাজার টন ইস্পাত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভাইরাল ভিডিয়ো
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
দু’টি বিল্ডিং ভাঙতে প্রায় ৮০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। এমন ভাবে বিল্ডিং দু’টি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়, যাতে সেগুলি কোনও দিকে হেলে না পড়ে।যেখানে বিল্ডিংগুলি দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই ভেঙে পড়ে।
এই এলাকায় অন্য যে সব বিল্ডিং রয়েছে, সেগুলির বাসিন্দাদের ঘরের সব বৈদ্যুতিক উপকরণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে বলা হয়, ধুলো-ধোঁয়া থেকে বাঁচতে ঘরের দরজা জানালা যাতে বন্ধ রাখেন তাঁরা।
রবিবার ১৭ তলার আরও দু’টি বিল্ডিং ‘জৈন কোরাল কোভ’ ও ‘গোল্ডেন কায়ালোরাম’ ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্ট চারটি বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের পরিবার পিছু ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দিয়েছিল।