কুরেশিকে কব্জা করা চেষ্টায় পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রাস্তায় উত্পাত, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে গ্রেফতার হলেন সলমন খানের প্রাক্তন এক দেহরক্ষী। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাত্ই উন্মত্তের মতো রাস্তায় বেরিয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন তিনি। পুলিশে খবর যায়। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা এসে তাঁকে দড়ি, মাছধরা জালদিয়ে বেঁধে নিয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো।
বছর দুয়েক আগে সলমনের প্রধান দেহরক্ষী শেরুর অধীনে কাজ করতেন আনাজ কুরেশি। এখন মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রীরনিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। দিন দশেক আগে তিনি মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশে মোরাদাবাদে ফেরেন। মোরাদাবাদের মুঘলপুরা থানার পীর গাইব এলাকায় তাঁর বাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিন আগে কুরেশি‘মিস্টার মোরাদাবাদ’প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু প্রথম হতে পারেননি, দ্বিতীয় হন। তা নিয়ে আনাজ কুরেশির মন খারাপ ছিল। কুরেশি বেশি মাত্রায় স্টেরয়েড নিয়ে ফেলেন। সেই অবস্থায় বুধবার বিকেলে তিনি ব্যায়াম করতেজিমে যান। সেখান থেকে ফিরে রাত্রে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু অতিরিক্ত স্টেরয়েডের প্রভাবে সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর শুরু করেন।
আরও পড়ুন : ৬ বছরের শিশু ভেবে দত্তক ২২ বছরের যুবতীকে, সে নাকি খুনের চেষ্টা করে বাবা-মাকে!
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুরেশির গায়ে কোনও জামা ছিল না। সেই অবস্থায়রাস্তায় লোকজনকে তাড়া করছিলেন। এমনকি তাঁদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছিলেন বলেও অভিযোগ। পরে কুরেশি হাতে একটি লোহার রড পেয়ে যান।তা দিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকাগাড়ির কাচ ভাঙতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : গোপন ক্যামেরায় স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ধরতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন মহিলা
কুরেশির উত্পাত শুরুর পরেই খবর যায় থানায়। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তাঁরা কুরেশিকে দড়ি, মাছধরার নীল রঙের একটি জাল দিয়ে কব্জা করার চেষ্টা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো আপলোড হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একবার পুলিশ কুরেশিকে কব্জা করার চেষ্টা করছে, তখন কুরেশিও শান্ত ভাবে যেন সহযোগিতা করছেন। আবার পরমুহূর্তে উত্তেজিত হয়ে সব কিছুঠেলে বেরনোর চেষ্টা করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ২০১৭ সালে একটি ধর্ষণের মামলায় নাম জড়ায় কুরেশির।
বুধবার অতিরিক্ত স্টেরয়েড নেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেই বৃহস্পতিবার এই কাণ্ড করেছেনকুরেশি।রাস্তা থেকে কুরেশিকে ধরে নিয়ে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা হাসপাতালের চিকিত্সরকরা তাঁকে বরেলি মানসিক হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেই এখন চিকিত্সা চলছে কুরেশির।