আতঙ্কিত হয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে বাসের ছাদে উঠেছেন যাত্রীরা। ছবি: টুইটার।
ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিও। উত্তর ভারতে গত তিন দিনে দুর্যোগের কবলে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মৌসম ভবনের তরফে বিভিন্ন এলাকায় লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় হড়পা বান এবং ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করেছে মৌসম ভবন।
ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশে এবং উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানে গাড়ি, রাস্তা, সেতু, দোকানপাট, চাষের জমি ভেসে যাওয়ার ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরাখণ্ডে কসৌলের রামগড়ে নদীর জলের স্রোতে একটি যাত্রিবাহী বাসের ভেসে যাওয়ার ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র প্রকাশিত ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিতে যাত্রিবাহী একটি বাস নদীতে আটকে গিয়েছে। জলস্রোত দেখে আতঙ্কিত যাত্রীদের জানালা দিয়ে বেরিয়ে হুড়মুড়িয়ে বাসের ছাদে উঠেছেন। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে লাফ দিচ্ছেন। প্রবল স্রোতে বাসটি কাত হয়ে পড়লে যাত্রীরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রীরা ভয়ের চোটে রামগড়ের পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে।
উত্তরাখণ্ডের মানালিতে দোকানপাট এবং কুলু, কিন্নর এবং চম্বাতে হড়পা বানে যানবাহন ভেসে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে।
উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি ভারী বর্ষণের কারণে হিমাচল প্রদেশের প্রায় সব জেলা় ক্ষতির মুখে পড়েছে। হড়পা বানে ভেসে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। হড়পা বানের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে মান্ডির পঞ্চবক্তা সেতু। মান্ডির অতিরিক্ত জেলাশাসক অশ্বিনী কুমার জানিয়েছেন, বিতস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কারণেই ঐতিহ্যবাহী এই সেতুটি ভেসে গিয়েছে। অন্য দিকে, ইরাবতী নদীর স্রোতে চম্বার বাকান সেতুও ভেঙে গিয়েছে।
বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে হিমাচলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কুমায়ুন হিমালয়ে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে জায়গায় জায়গায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মোট ৭৬৫টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।