ছবি: শাটারস্টক
বরের নাচ দেখে বিয়েই ভেঙে দিলেন এক তরুণী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকার মইলানিতে এমনটা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্য ও উত্তর ভারতে বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘নাগিন ড্যান্স’বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেই নাচের সময় হবু বরের আচরণ দেখে বিরক্ত হয়েই মণ্ডপ থেকে উঠে যান কনে।
বিয়ের আগের সব আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। বরযাত্রী নিয়ে বিয়েবাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বর সুভদ্র কুমার (নাম পরিবর্তিত)। সেখানে পৌঁছেও চলছিল বরযাত্রীদের নাচ। পরে বরকেও নিয়ে আসা হয় ‘ডান্স ফ্লোরে’। অপেক্ষা করছিলেন কনে অনিতা (নাম পরিবর্তিত)। নাচতে নাচতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল বলে সুভদ্রকে বিয়ের মণ্ডপে নিয়ে আসতে যান কনে পক্ষের কয়েকজন। অভিযোগ, বর তাঁদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেন। তারপর কোনও রকমে তাঁকে বিয়ের মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। মালাবদলও হয়ে যায় সুভদ্র-অনিতার। কিন্তু ফের সেখান থেকে লাফিয়ে নাচতে চলে যান সুভদ্র। চলে ‘নাগিন ডান্স’। নাচতে নাচতে বর পড়েও যান। তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই সব চলছিল অনিতার চোখের সামনেই।
আরও পড়ুন: পাক জাদুঘরে অভিনন্দন বর্তমানের মূর্তি, ভারতীয়দের তীব্র কটাক্ষের মুখে সাংবাদিক
বরের এহেন আচরণ দেখে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অনিতা। মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। অভিযোগ, বিয়ে ভাঙার কথা শুনেই কনেকে চড় মারেন বর। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। বরের পরিবার অনিতাকে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএমডাব্লিউ-র দামে বিক্রি হল একটি মাত্র কাঁকড়া!
অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। স্থানীয় থানার এসআই বিপিন সিংহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে দু’পক্ষই বলে, তারা আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চায়। এমনকি সুভদ্র লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা কনে পক্ষের দেওয়া সব উপহার ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ফিরিয়ে দেবেন।
কোনও পক্ষই পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।