—ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্রেই দেহরাদূনে গিয়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী আজ দাবি করেছেন, ‘‘উত্তরাখণ্ডে এখন বিকাশের গঙ্গা বয়ে চলেছে।’’ রাজ্যে ১১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেছেন কংগ্রেসকে। দাবি করেছেন, অতীতে বছরের পর বছর সরকারে ছিলেন যাঁরা, পাহাড়ের মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসতে কোনও নজরই ছিল না তাঁদের। তবে এখন তাঁর সরকার পাহাড়ের উন্নয়নকে পাখির চোখ করেছে।
মোদী আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি-দেহরাদূনের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণ। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৮৩০০ কোটি টাকা। দিল্লি থেকে দেহরাদূনে সড়কপথে পৌঁছতে এখন লাগে ছয় ঘণ্টা। এই প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রসেওয়ে তৈরি হলে যাত্রাপথের সময় কমে দাঁড়াবে আড়াই ঘণ্টা। শিলান্যাস করতে গিয়ে দেহরাদূনের প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপির জন্য ভোটের প্রচারও শুরু করেছেন মোদী। সেই সভায় তিনি দাবি করেছেন, গত পাঁচ বছরে উত্তরাখণ্ডে ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। আজই যেমন ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করতে এসেছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে দরাজহস্ত, সে কথা বোঝাতে মোদীর দাবি, ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এ রাজ্যে ২৮৮ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকা। অথচ গত সাত বছরে তাঁর সরকার উত্তরাখণ্ডে ২০০০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক তৈরি করেছে। খরচ হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে আমাদের বিশ্বাসই শুধু জড়িয়ে নেই, এ সব আমাদের দেশের প্রাচীর...। তবে আগের সরকারগুলি পাহাড়ি, সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি নজর দেয়নি। যা তাদের করা উচিত ছিল।’’ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারগুলিকে নিশানা করে মোদীর মন্তব্য, ‘‘আগের সরকারগুলির নীতির কারণে সেনাবাহিনীর সর্বস্তরে হতাশা তৈরি হয়েছিল। তবে আমরা সেনাবাহিনীতে ‘এক পদ, এক পেনশন’ নীতি চালু করেছি, সেনার হাতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তুলে দিয়েছি, জঙ্গিদের জবাব দিয়েছি জোরালো ভাবে।’’ কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস, উন্নয়নের তুলনা টেনে অন্য রাজনৈতিক দলের সরকারগুলির সমালোচনা কিংবা সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ আজ যে ভাবে টেনে এনেছেন মোদী— তা দেখে অনেকেই বলছেন, বোঝাই যাচ্ছে ভোট এসে গিয়েছে!