দিল্লিতে কেজরীওয়ালের বাসভবন তৈরিতে খরচ ৫৩ কোটি টাকা! ফাইল চিত্র।
নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকারি বাসভবন। আপ প্রধানের বাসভবন নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, বিজেপির তরফে আগেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এ বার এই বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল দিল্লির উপরাজ্যপালের কাছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাসভবন নির্মাণে ৫২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। সব কিছুই নাকি হয়েছে দিল্লির পূর্ত দফতরের অনুমোদনক্রমেই। এই তদন্ত রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই আপের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। আপের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, নেতাকর্মীদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে সরাসরি কেজরীওয়ালকে আক্রমণ করছে বিজেপি।
তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে ৬, ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের উপর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্নির্মাণ করতেই ৩৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা আধিকারিকদের বাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৯ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ১৯৪২-৪৩ সাল থেকেই ওই জায়গায় একটি বাংলো ছিল। পরে তা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ওই বাংলো ‘বসবাসের অনুপযুক্ত’ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান কেজরীওয়াল। বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ার ছবিও টুইট করে তাঁর দল আপ। তার পরই পুরনো বাংলো ভেঙে নতুন বাসভবন তৈরির প্রস্তাব দেয় পূর্ত দফতর। ২০২০ সালে আপ সরকারের পূর্তমন্ত্রী বাড়ি লাগোয়া বৈঠকখানা, ২৪ জনের খাওয়ার জায়গা তৈরির প্রস্তাব দেন। তার পরই পুরনো ভবনের পাশে মাথা তোলে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন বাসভবন।
নতুন বাসভবন ঘিরে বিতর্কের জেরে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তাঁর কাছে জমা করার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। এপ্রিলের ওই নির্দেশের পর ১২ মে মুখ্য তদন্তকারী আধিকারিক (ভিজিল্যান্স অফিসার) উপরাজ্যপালকে ওই রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, মাত্র ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করে বাসভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম দরপত্রে ব্যয় করা হয়েছিল মাত্র ৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। আপ অবশ্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এর মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। উল্টে অর্ডিন্যান্স বিতর্ককে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রিপোর্টের প্রসঙ্গ উস্কে দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই কথাও তুলেছে তারা।