গত ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার-সহ ১০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন কর্নাটকে। ছবি: পিটিআই।
এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্প্রসারিত হতে চলেছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মন্ত্রিসভা। শনিবার নতুন মন্ত্রীদের শপথ হবে বলে রাজভবন সূত্রের খবর। কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এই দফায় আরও ২৪ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেনুগোপাল এবং কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা।
কর্নাটক বিধানসভার আসনসংখ্যা ২২৪। পরিষদীয় বিধি মেনে তাঁদের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার-সহ ১০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। অর্থাৎ আরও ২৪ জন মন্ত্রী এখনও শপথ নিতে পারেন দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যে। তবে লোকসভা নির্বাচনকে ‘নজরে’ রেখে এখনই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মন্ত্রীদের ‘কোটা’ পূর্ণ করবেন না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
সম্ভাব্য মন্ত্রীদের মধ্যে বিজেপি জমানার উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সভড়ী, দলত্যাগী জেডিএস নেতা এসআর শ্রীনিবাস, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসআর বঙ্গারাপ্পার ছেলে তথা বিধায়ক মধুর নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। ভোটে হেরে গেলেও প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারকে মন্ত্রী করে তাঁকে বিধানপরিষদ থেকে জিতিয়ে আনা হতে পারে বলেও জল্পনা।
গত শনিবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর, বাল্মীকি জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও, পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংহের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি এবং দলের দুই সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জ। এর পর রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচ বারের কংগ্রেস বিধায়ক, সংখ্যালঘু নেতা ইউটি খাদের।