শিক্ষিকা এবং প্রিন্সিপালের চুলোচুলির ভিডিয়ো। ছবি: এক্স।
স্কুলের মধ্যেই প্রিন্সিপালের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন এক শিক্ষিকা। স্কুলে দেরি করে আসা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। দেখা গিয়েছে, তাঁরা একে অপরের পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছেন। টেনেছেন চুল ধরেও। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ঘটনাটি আগরার একটি স্কুলের। ৩ মে ওই শিক্ষিকা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে স্কুলে ঢোকেন বলে অভিযোগ। এতে আপত্তি করেন প্রিন্সিপাল। শিক্ষিকাকে দেরি করে আসা নিয়ে সতর্ক করেন তিনি। এর পরেই প্রিন্সিপালের উপর চড়াও হন শিক্ষিকা। তাঁদের দু’জনেরই পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। প্রথমে দু’জনের মধ্যে মুখে মুখেই বচসা চলছিল। তা একসময়ে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রিন্সিপাল চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন শিক্ষিকা। দু’হাত দিয়ে তাঁর জামা খামচে ধরেন। পাল্টা দেন প্রিন্সিপালও।
ঘটনার সময়ে ওই ঘরে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের অন্য কর্মীরাও। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে দু’জনকে আটকাতে যান। কিন্তু এক হাতে শিক্ষিকাকে ধরে রাখলেও অন্য হাত দিয়ে তিনি প্রিন্সিপালকে আক্রমণ করছিলেন। প্রিন্সিপালও একই ভাবে দু’হাত দিয়ে আক্রমণ করেন ওই শিক্ষিকাকে। গোটা পর্বে উভয়েই একে অপরের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করছিলেন বলে অভিযোগ। স্কুলের অন্য কর্মীরা চেষ্টা করেও তাঁদের আটকাতে পারেননি। দেখা গিয়েছে, এই সংঘাতে এক জনের পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছে। তাঁরা একে অপরের চুলও টেনেছিলেন। প্রিন্সিপালের চোখে আঘাত লাগতেও দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটি ঘিরে সমাজমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছবি এটা হতে পারে না। শিক্ষিকারাই যদি এই আচরণ করেন, তা হলে তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের কী শেখাবেন? ওই শিক্ষিকা এবং প্রিন্সিপালের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অনেকে।