(বাঁ দিকে) রণবীর কপূর-আলিয়া ভট্ট, ঋদ্ধিমা কপূর (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
দুই বছরের দাম্পত্য জীবন। যদিও তাঁর আগে প্রায় পাঁচ বছরের প্রেম রণবীর কপূর-আলিয়া ভট্টের। বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গত নভেম্বরে তাঁদের কোল আলো করে এসেছে সন্তান। আপাতদৃষ্টিতে যুগলের সংসারে প্রেমে খামতি নেই। তবে আলিয়ার বেশ কিছু মন্তব্যে নেটাগরিকদের ধারণা, অভিনেত্রীর উপর বেশিই কর্তৃত্ব ফলান তাঁর স্বামী রণবীর। আলিয়ার নানা মন্তব্য ও রণবীরের তাঁর স্ত্রীর প্রতি পাল্টা মন্তব্য দেখে নিন্দকদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। রণবীর নাকি বড্ড বেশি পুরুষতান্ত্রিক। আলিয়াকে নিজের মতো থাকতে দেন না। অবশেষে ভাই ও বৌদির দাম্পত্যের অন্দরের সত্যিটা ফাঁস করলেন ননদ ঋদ্ধিমা কপূর।
নিজের খোলামেলা স্বভাব ও কথাবার্তার জন্য বরাবরই নামডাক আলিয়ার। মাসকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, অভিনয় ছাড়া অন্য সময়ে বাইরে বেরোনোর আগে তিনি লিপস্টিক পরা অনেক কমিয়ে ফেলেছেন। কারণ, তাঁর স্বামী রণবীর নাকি লিপস্টিক পরা একেবারেই পছন্দ করেন না। শুধু তাই নয়, তার আগে আলিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁর গলার আওয়াজ একটু চড়লেই বিরক্ত হন রণবীর। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মোটা বলেও ডাকেন আলিয়াকে। যদিও সবটা খুব মজার ছলে বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁদের যা ট্রোলিং হওয়ার হয়ে গিয়েছে। রণবীরকে নারীবিদ্বেষীর তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। আলিয়া যদিও একবার বলেছিলেন, “রণবীরের মতো শান্ত স্বভাবের মানুষ হয় না। বাইরের মানুষ ওকে যে ভাবে দেখে, ও আদতে তেমন মানুষ নয়।” স্ত্রী আলিয়ার সরল মন্তব্য ও দর্শকের ট্রোলিং আদৌ কোনও প্রভাব ফেলেছে রণবীরের উপর! ঋদ্ধিমা বলেন, ‘‘ওরা তিনজনে খুব ভাল আছে। বাইরের লোকে কে কী বলল তাতে পাত্তা দেয় না। আলিয়া যা-ই করে মানুষটা মন থেকে করে।’’