এনসিএলটি-এর বিচার বিভাগীয় সদস্য পতিবন্দলা সত্যনারায়ণ প্রসাদ। ছবি সংগৃহীত।
আদালত কক্ষে কোনও মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েই থাকে। কখনও কখনও উচ্চ স্বরে তর্কাতর্কি চলে। তবে চণ্ডীগড়ের ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) বেনজির ঘটনা ঘটল। এনসিএলটি-এ এক জন বিচার বিভাগীয় সদস্য এবং প্রযুক্তিগত সদস্যের মধ্যে ঝামেলার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
আইন আদালত বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এনসিএলটি-এর বিচার বিভাগীয় সদস্য পতিবন্দলা সত্যনারায়ণ প্রসাদের সঙ্গে প্রযুক্তিগত সদস্য উমেশকুমার শুক্লর মধ্যে মামলা পরিচালনা করা নিয়ে তর্কাতর্কি বাধে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে পতিবন্দলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘এটা কী? প্রতি দিন আপনি (উমেশকুমার শুক্লা) একই কাজ করে চলেছেন। একটা সীমা থাকার প্রয়োজন। প্রতি দিন এই কাজ করতে পারেন না। আপনাকে আমি অনেক সহ্য করেছি...।’’
ভিডিয়োতে উমেশের কথা পরিষ্কার শোনা যায়নি, তবে এই ভর্ৎসনা যে তিনি ভাল ভাবে নেননি সেটা বোঝা গিয়েছে। পতিবন্দলাকে উমেশের উদ্দেশে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আপনি বারে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি ঠিক করছেন কি না। আপনি কী জানতে চান, সেটা জানান। কৌঁসুলিরা আপনাকে সঠিক বিষয় বলে দেবেন। সেটাই মেনে চলুন। আমি বিষয়টি এখানেই শেষ করতে চাই...।’’
পতিবন্দলা জানান যে, তিনিই আদালতের নিয়ন্ত্রক। বিচার বিভাগীয় সদস্যের নিয়ন্ত্রণেই আদালতের কাজ চলে। তাই আপনাকেও বিচার বিভাগীয় সদস্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এনসিএলটি-এ এর আগেও বিচার বিভাগীয় সদস্য এবং প্রযুক্তিগত সদস্যের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে তা এই মাত্রায় পৌঁছয়নি বলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’কে জানান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিচার বিভাগীয় সদস্য হিসাবে এনসিএলটি যোগ দেন পতিবন্দলা। তার আগে তিনি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। অন্য দিকে, উমেশ গত বছরের জুলাই মাসে এনসিএলটি-তে নিয়োগ পান। তার আগে অর্থ মন্ত্রকের অধীনে কাজ করতেন।