AAP MLA

দলের কর্মীদের হাতেই মার খাচ্ছেন আপ নেতা! ছুটে পালাচ্ছেন প্রাণভয়ে, ভাইরাল ভিডিয়ো

মাটিয়ালা কেন্দ্রের বিধায়ক গুলাব সিংহ যাদব কর্মীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে দাবি। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে মারের হাত থেকে বাঁচতে ছুটছেন নেতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৫৮
Share:

বিধায়কে মারধর করলেন খোদ দলের কর্মীরাই। ছবি: টুইটার

দিল্লিতে আম আদমি পার্টির বিধায়কে মারধর করলেন খোদ দলের কর্মীরাই। প্রাণ বাঁচাতে দলীয় কার্যালয় থেকে ছুটে পালালেন বিধায়ক। সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হল সমাজমাধ্যমে। যা দেখিয়ে বিরোধীদের দাবি, শাসকদলের দুর্নীতি মাত্রাছাড়া পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে নিজের দলের কর্মীদের কাছেই মার খেতে হচ্ছে নেতাকে।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের মাঝে বসে ছিলেন আপ নেতা তথা মাটিয়ালা কেন্দ্রের বিধায়ক গুলাব সিংহ যাদব। তাঁকে ঘিরে কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে। কর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল।

কর্মীদের বচসার ক্রমেই পারদ চড়তে থাকে। এক সময় দেখা যায় বিধায়কের দিকে তেড়ে আসছেন কর্মীদের একাংশ। তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন। বেগতিক বুঝে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর পিছনে ধাওয়া করেন অন্যরা। কেউ কেউ মারমুখী কর্মীদের থেকে বিধায়ককে আড়াল করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার মার খান গুলাব। এক সময় তিনি ছুটতে শুরু করেন।

Advertisement

এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশের পরেই রাতারাতি ভাইরাল। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র ভিডিয়োটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘একটি দলের ‘সৎ রাজনীতি’র নাটকের কিছু দৃশ্য। আপের দুর্নীতি এমনই যে, দলের কর্মীরাই বিধায়কের উপর ক্ষেপে গিয়েছেন। সামনের ভোটে তিনি আপের অবস্থাও এমন হতে চলেছে।’’

সূত্রের খবর, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে আপের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে। গুলাবকেও সেই কারণেই কর্মীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে।

এ দিকে বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়ে গুলাব বলেছেন, বিজেপির লোকজন দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর উপর হামলা করেছেন।

এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। দাবি, আক্রমণকারীদের বাঁচাতে থানায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গিয়েছিলেন। তাঁর উপর হামলা যে বিজেপির চক্রান্ত, এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement