সেনা সরাচ্ছে চিন। ছবি: পিটিআই
প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে চিন। সে কথা আগেই জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এ বার সেনা ও কাঠামো সরানোর ভিডিয়োও ধরা পড়ল। ভারতীয় সেনার তরফে এই রকম একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। পুরোপুরি সেনা সরানো হলে ২০২০-র মে মাসের আগের স্থিতাবস্থা ফিরবে বলেই মনে করছে ভারতীয় সেনা।
গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই নয়াদিল্লি বেজিং আলোচনা শুরু হয়। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে ধাপে ধাপে সেনা সরাতে শুরু করে চিন। গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরালেও প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে রফাসূত্র বেরিয়েছে এবং দু’দেশই ধাপে ধাপে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
তার পরেই সেনার তরফেও জানানো হয়, সেনা সরাতে শুরু করেছে চিনা বাহিনী। মঙ্গলবার তার প্রমাণ মিলল ভিডিয়োতে। সেনার প্রকাশ করা ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বুলডোজার দিয়ে স্থায়ী কাঠামো, বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়ে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সেনারা ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সামরিক সরঞ্জাম। সেনাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সার দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার ছবিও ধরা পড়েছে।
সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ৮টি ফিঙ্গার পয়েন্টই ভারতের। কিন্তু ২০২০ সালের মে মাসে প্রায় ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত চলে আসে চিনা বাহিনী। গালওয়ান থেকে সেনা সরালেও এত দিন পর্যন্ত ওই ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি দখল করে রেখেছিল বেজিং। সম্প্রতি দু’দেশের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, চিনা বাহিনী ফের ফিঙ্গার-৮ এর ওপারে চলে যাবে। ভারতীয় সেনা টহল দিতে পারবে ফিঙ্গার-৩ পর্যন্ত। ভারতীয় সেনার শেষ স্থায়ী ঘাঁটি হবে ফিঙ্গার-৩ সন্নিহিত ধন সিংহ থাপা পোস্টের কাছে। মাঝখানের ফিঙ্গার-৪ থেকে ৮ পর্যন্ত ‘নো প্যাট্রলিং জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ২০২০-র মে মাসের আগে পর্যন্ত ফিঙ্গার-৮ অবধিই টহলদারি চালাতে পারত ভারতীয় সেনা। আরও জানানো হয়েছে, সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের সেনা অফিসাররা বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।