জ্ঞানবাপী মামলা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ফাইল চিত্র।
বারাণসী জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় আদালতে জমা করা ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ছবি বেরিয়ে গেল সংবাদমাধ্যমে। কী ভাবে এটা সম্ভব হল, তা নিয়ে শুরু নয়া বিতর্ক। বিস্মিত মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এর তদন্ত হোক। সোমবার জ্ঞানবাপী মামলার শুনানির পর সংশ্লিষ্ট মামলা সম্পর্কিত ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ছবি দেওয়া হয় উভয়পক্ষের মামলাকারীকে। আদালতের শর্ত ছিল, কোনও ভাবেই এই ভিডিয়ো বা ছবি জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবে না। গোপন রাখতে হবে জ্ঞানবাপীর সমীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্টও। কিন্তু সোমবার শুনানি শেষ হওয়া মাত্র বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ওই ভিডিয়ো এবং ছবি। যা নিয়ে কার্যত হতাশ মামলাকারীরা। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সঙ্কর জৈনের কথায়, ‘‘সিল করা খামেই আমাদের কাছে রিপোর্ট রয়েছে।’’ তা-ও কী ভাবে রিপোর্ট জনসমক্ষে চলে এল, এ নিয়ে তিনি তদন্তের দাবি করছেন।
আগামী ৪ জুলাই রয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি। তার আগে সোমবার এই মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাণসী জেলা আদালতের কোর্টরুম। এমনকি, এতটাই জোর গলায় কৌঁসুলিরা কথা বলছিলেন যে, কোর্টরুমের বাইরেও সেই শব্দ শোনা যায়। বারবার দুই পক্ষকে সংযত হওয়ার কথা বলেন বিচারক। প্রথমে তাতেও কাজ হয়নি। এর পর বিচারক ক্ষুব্ধ হয়ে দু’তরফকে শান্ত হতে বলেন। তার মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যাতে ‘গোপন’ রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালত নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পেশের পরে ওজুখানা ও তহখানা ‘সিল’ করার নির্দেশ দেয় দায়রা আদালত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।