রাজ্যসভায় বিজেপির আক্রমণের জবাব দিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘রাবণ’-এর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। এ বার রাজস্থানে অলওয়ারে কংগ্রেসের সভায় যোগ দিতে গিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতাদের ‘কুকুরের সঙ্গে তুলনা করার’ অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় খড়্গের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে সরব হন বিজেপি সাংসদেরা। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়ের কাছে আবেদন জানান, রাজস্থানে কংগ্রেসের সভায় ‘কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য’ খড়্গেকে যেন ক্ষমতা চাইতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পত্রপাঠ সেই দাবি খারিজ করে ধনখড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, ‘‘আমরা কি শিশু? সভার বাইরে কেউ কিছু বললে, সে প্রসঙ্গ কি সভায় তোলা যায়? দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ আমাদের দেখছে।’’
অধ্যক্ষের মন্তব্যের পরেও বিজেপি সাংসদের একাংশ ক্ষমার দাবিতে শোরগোল চালিয়ে যান। কংগ্রেসের দলিত নেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন। এ সময় খড়্গে বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করলেন তাঁদেরকেই আপনারা ক্ষমা চাইতে বলছেন! আমি আবার বলছি, যাঁরা ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলছেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁদের কোনও অবদান নেই।’’ সংসদের বাইরে তিনি যা বলেছেন, তা নিয়ে সংসদের ভিতরে কেন আলোচনার দাবি উঠছে, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি জানতে চান, কেন অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনা ফৌজের অনুপ্রবেশ নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজস্থানের অলওয়ারে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে খড়্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেস এবং বিজেপির অবদানের প্রসঙ্গ তুলে পদ্ম-শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের আত্মবলিদানের তালিকা দীর্ঘ। আপনাদের (বিজেপি নেতা) বাড়ির একটা কুকুরও কি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে? অথচ এর পরেও আপনারা নিজেদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে দাবি করেন। আমাদের ‘দেশদ্রোহী’ বলেন।’’