ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে ছুটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। টুইটার থেকে নেওয়া।
ঝড়ের গতিতে ছুটছে ট্রেন। স্পিডোমিটার বলছে গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। ভারতের মাটিতে এমন মসৃণ গতিতে ট্রেন ছুটছে, এই প্রথম। দক্ষিণ রেল এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো টুইট করেছে। বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান দেখে তারিফ করছেন সকলেই।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস— এই ট্রেন সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়েছে ভারতেই। রেললাইনে ঝড় তুলে যাত্রীকে সামান্য সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এই ধরনের ট্রেনের বিকল্প নেই, দাবি করছেন রেলকর্তারা। সেই ট্রেনেরই ট্রায়াল রানের ভিডিয়ো এল প্রকাশ্যে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে দৌড়চ্ছে বন্দে ভারত। আর ট্রেনের মধ্যে একটি টেবিলে রাখা জলভর্তি গ্লাস থেকে এক ফোঁটা জলও চলকে পড়ছে না। গ্লাসের ঠিক পাশেই বসানো ডিজিটাল স্পিডোমিটার অ্যাপ বলছে, ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পেরিয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ রেলের টুইট করা ভিডিয়োয় লেখা হয়েছে এ কথাই। এত গতির জেরে ট্রেনের ভিতরে যে ঝাঁকুনি তৈরি হওয়ার কথা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। তাই ট্রেন ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটলেও ট্রেনের ভিতরে রাখা জলভর্তি গ্লাস থেকে এক ফোঁটা জলও চলকে পড়ছে না টেবিলে।
গত মাসে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে, নির্ধারিত সময়ের কম সময়ে দুর্দান্ত মানের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করেছে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। এটি দুনিয়ার অন্যতম সেরা ট্রেন হয়ে উঠতে চলেছে। এই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে আছে।’’
সম্পূর্ণ ভাবে ভারতেই তৈরি হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ধরনের ট্রেন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘সেল্ফ প্রপেল্ড’ ইঞ্জিন। অর্থাৎ, আলাদা করে নেই কোনও ইঞ্জিন। ট্রেনে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা। বসার ব্যবস্থা থাকবে বাতানুকূল। চেয়ারগুলি ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যাবে।
২০২৩-এর ১৫ অগস্টের আগে গোটা দেশে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন তৈরি করা হবে। তার পর তা দাপিয়ে বেড়াবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।