ফাইল ছবি ছবি: রয়টার্স
উত্তরাখণ্ডের তপোবনের সুড়ঙ্গে উদ্ধার কাজ থেমে গিয়েছে। নতুন করে ফুলে ফেঁপে উঠছে একাধিক নদী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নদীর নিম্নগতির এলাকা যেন ফাঁকা করে দেওয়া হয়।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় রবিবার আচমকা হড়়পা বানে নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় ২০০ মানুষ। একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পাঁচটি সেতু সেই জলের তোড়ে ভেসে যায়। আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেকাংশ ক্ষতি হয়। ৩২ জনের দেহ উদ্ধার করা হয় ঘটনার পর। কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে। নদীর স্রোতে দেহগুলি ভেসে গিয়েছিল।
তপোবনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে একটি সুড়ঙ্গে এখনও প্রায় ৩০ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গত তিনদিন ধরে সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে মাঝে মধ্যেই কাজ আটকে যাচ্ছে, কারণ ইংরাজি ‘ইউ’ অক্ষরের মতো এই টানেলের পথ কাদা ও জলে আটকে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, কারণ যে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করছিলেন, তাঁরা আটকে পড়েন জলকাদার দাপটে। অবশ্য বাকি উদ্ধারকারী দল সতর্ক থাকায় বিপদ ঘটেনি।