—প্রতীকী ছবি।
৫০টি গাছ রোপণ করলে তবেই মামলা বাতিলের আবেদনে সাড়া দেওয়া হবে। সমাজমাধ্যমে তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তকে এমনটাই শর্ত দিল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। নির্যাতিতার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কারণে তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিয়েছিলেন। এর পরই মামলা বাতিলের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। বিচারপতি শরদকুমার শর্মার একটি বেঞ্চ অভিযুক্তকে জানান, তাঁকে ৫০টি গাছ রোপণ করতে হবে। তবেই তাঁর বিরুদ্ধে নিগ্রহের ওই মামলা বাতিল করা হবে। ৫০টি গাছ রোপণের সঠিক নথি আদালতে জমা দেওয়ার পরই তাঁর মামলা বাতিল করা হবে বলেও বিচারপতি জানান।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন। সেই সূত্রেই ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় তাঁদের। অভিযোগ, ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতানোর পর অভিযোগকারী তরুণীকে অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো পাঠাতে শুরু করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই তরুণীর পরিবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তরফে অভিযুক্তের নামে সমনও জারি করা হয়। এর পরেই অভিযুক্ত তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিলের আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়ে তিনি জানান, ওই তরুণীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মামলাটি বাতিল করে দেওয়ার আর্জিও জানান অভিযুক্ত।
এই প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ প্রত্যাহার করার কারণে ওই ব্যক্তির মামলা বাতিল করা যেতে পারে। তবে অভিযুক্তকে সঠিক শিক্ষা দিতে এবং ভবিষ্যতে তিনি যাতে এই ধরনের অপরাধ না করেন, তা নিশ্চিত করার জন্য অভিযুক্তকে ৫০টি গাছ রোপণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গাছ রোপণ করলে তবেই মামলা বাতিল করা হবে বলেও উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।