ছবি: সংগৃহীত।
বিধানসভা ভোটের আগে চাপের মুখে আরও একটি বিল প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি সরকার।
এ বারে উত্তরাখণ্ডের বিতর্কিত ‘চার ধাম দেবস্থান বোর্ড আইন’ প্রত্যাহার করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। এই আইনটি নিয়ে প্রায় দু’বছর ধরে অনড় অবস্থান নিলেও ভোটের আগে রাজ্যের প্রভাবশালী পুরোহিত সমাজ এবং বিরোধী কংগ্রেসের চাপের মুখে বিলটি প্রত্যাহার করতে এক রকম বাধ্য হলেন পুষ্কর সিংহ ধামী। মঙ্গলবার দেহরাদূনে বিলটি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চার ধামের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখার জন্য সক্রিয় হয় রাজ্যের বিজেপি সরকার। ১৯৩৯ সালের একটি আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিল কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং আরও ৪৫টি মন্দির। সমিতির সভাপতিত্ব করতেন সরকার নিযুক্ত ব্যক্তি। সিইও হতেন সরকারি কোনও শীর্ষকর্তা। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে, ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়তের মুখ্যমন্ত্রিত্বে মন্দিরগুলির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পাশ হয় ‘চার ধাম দেবস্থান বোর্ড বিল’। জানুয়ারিতেই গঠিত হয় ‘উত্তরাখণ্ড চার ধাম দেবস্থান বোর্ড’।
বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই তীব্র ক্ষোভ জানায় পুরোহিত সমাজ। বিজেপিকে ‘ধর্ম বিরোধী’ বলে নিশানা করে কংগ্রেস। অভিযোগ ওঠে, মন্দিরের উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিল পাশ হওয়ার পর থেকে একাধিক বার রাজ্যের মন্ত্রীরা পুরোহিতদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কেদারনাথে গেলে পুরোহিতদের বিক্ষোভের মুখে ফিরে আসতে হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাওয়তকেও। এই পরিস্থিতিতে ভোটে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় বিলটি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহারই করে নিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন, কৃষিপ্রধান উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের ভোটের কথা মাথায় রেখে কৃষি আইন নিয়ে পিছু হটেছেন নরেন্দ্র মোদী। এ বারে পুরোহিতদের ভয়ে পিছু হটলেন ধামী। ভোটের ভয়ই আসল।