প্রতীকী ছবি।
পাহাড়ের ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে ছোট্ট একটা বাড়ি। সেখানে বসেই আপনি করছেন অফিসের কাজ। বা পাহাড়ের কোলের গ্রাম। সেখান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট মেল করছেন অফিসে। কাজ করতে করতে কখনও আপনার সামনে দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে রংবেরঙের পাখি। তো কখনও জানলা দিয়ে দেখছেন পাহাড়ি নদীর বয়ে যাওয়া।
এ ভাবে কাজ করার স্বপ্ন যদি কখনও দেখে থাকেন, তা হলে তা পূরণ করার অভিনব সুযোগ রয়েছে আপনার সামনে। সৌজন্যে উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন বিভাগ। বাড়ি থেকে কাজের একঘেয়েমি কাটাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে তারা। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন বিভিন্ন মনোরম পর্যটন কেন্দ্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ করেও ছুটির আমেজ উপভোগ করার এই সুবিধার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ককেশন’।
বিষয় নিয়ে উত্তরাখণ্ড পর্যটনের সেক্রেটারি দিলীপ যাওয়ালকর বলেছেন, ‘‘ওয়ার্ককেশন ছুটি কাটানোর সব থেকে ট্রেন্ডিং ধারণা। কোভিড-১৯ অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজ করার যুগে এই সুযোগ আনছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ছুটিতে এসেও যাতে অফিসের কাজ করা যায়, সে জন্যই এই উদ্যোগ। জিম করবেট, ল্যান্সডাউন, মুসৌরি, কৌসানি, দেহরাদুন, নৈনিতাল, আলমোরার মতো জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যেই কাজ করতে পারবেন পর্যটকরা।’’
আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে অফিসের ভিতর যুবতীকে গণধর্ষণ, ধৃত চার অভিযুক্ত
এই সব জায়গার বিভিন্ন হোমস্টে, হোটেল ও রিসর্টে কম খরচেই ওয়ার্ককেশনের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। কাজ করার ফাঁকে যাতে ঘুরতে যাওয়া, বাইকিং, ট্রেকিং করা যায়, সেই সব ব্যবস্থাও থাকবে পর্যটন বিভাগের তরফে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন পেশাদাররা এই ওয়ার্ককেশনের প্যাকেজ নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন বলে জানাচ্ছেন সেখানকার হোমস্টে ও হোটেল মালিকরা। আপনিও কি চাইছেন ওয়ার্ককেশনের অভিজ্ঞতা নিতে? তা হলে আর দেরি করবেন না।
আরও পড়ুন: ঝরঝরে বাংলায় তনুশ্রী বললেন, কাউকেই ভয় পাই না। কাজ থামবে না