avalanche

জোশী মঠে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, তুষারধসে এখনও নিখোঁজ ১৫০-র বেশি, নামল বায়ুসেনা

রেনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাঁধ ভাঙা জল নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:০২
Share:

জোাশীমঠের কাছে তুষারধস। ছবি : টুইটার থেকে।

হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামল উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায়। রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের জেরে ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যায়। ভেঙে যায় সেতু। দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ ১৫০ জন শ্রমিক। এঁরা তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এঁদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, আটকে পড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Advertisement

রেনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাঁধ ভাঙা জল নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। মোাদী লেখেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার কাজের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছি আমি’।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই জোাশী মঠে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এই সঙ্কট কালে দেবভূমিকে সবরকম সাহায্য করা হবে। পরে আরও একটি টুইট করে শাহ জানান, ‘বিপর্যয় বাহিনীর আরও কয়েকটি দলকে দিল্লি থেকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঘটনাস্থলের কাছে’।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত রবিবার দুপুরেই ধসে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির তথ্য জানার জন্য সাহায্য চাওয়ার নম্বর (হেল্পলাইন) প্রকাশ করেছেন। একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যদি ঘটনাস্থলে কেউ আটকে পড়ে থাকেন তবে তাঁরা ১০৭০ অথবা ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬ নম্বরে যোগাযোগ করুন’। এছাড়া কোনও পুরনো ভিডিয়োর ছবি দেখে গুজব ছড়ানোর ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলেছেন রাওয়াত।

ধসের কারণে ধউলিগঙ্গার দু’পাশের গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তপোবনের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহে ফাটল ধরায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমাণ।

আরও পড়ুন:

উত্তরাখণ্ডের চামোলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলকানন্দা নদীর তীরে যে বসতিগুলি রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেই জায়গাগুলিকেও খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাগিরথী নদীর গতিপথ বন্ধ করা হয়েছে।

শুধু উত্তরাখণ্ড নয়, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার দু’পারেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। ঘটনায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাধের লাগোয়া অঞ্চল খালি করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে এরকমই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বানে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ছ’হাজার মানুষ মারা যান। রবিবার সকালের ঘটনা সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরিয়ে আনল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement