বিধানসভায় হাঙ্গামার অভিযোগে সাসপেন্ড ১৫ কংগ্রেস বিধায়ক। — ফাইল ছবি।
বিধানসভায় হাঙ্গামার অভিযোগে ১৫ কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন উত্তরাখণ্ড বিধানসভার স্পিকার। অভিযোগ, বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেস বিধায়করা ওয়েলে নেমে সভার কাজ পণ্ড করার চেষ্টা করেন। দুই কংগ্রেস বিধায়ক বিধানসভার সচিবের টেবিলে উঠেও তাণ্ডব চালান। এই অভিযোগেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার রীতু খাণ্ডুরি ভূষণ।
পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে স্পিকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সদস্যদের কোনও রকম সমস্যা হলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু সচিবের টেবিলে উঠে, ওয়েলে নেমে তাণ্ডব করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। এই ধরনের ব্যবহার কুরুচির পরিচয়।’’
কংগ্রেসের বিধায়ক আদেশ চৌহান উধম সিং নগরের সিনিয়র পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনেন। কিন্তু স্পিকার রীতু এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন। তার পরেই ওয়েলে নেমে পড়েন কংগ্রেস বিধায়করা। স্লোগান দিতে থাকেন। দুই কংগ্রেস বিধায়ক বিধানসভার সচিবের টেবিলের উপর উঠে পড়েন। সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বিধানসভার কাজ। তার পরেই কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়ককে দিনের মতো অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন স্পিকার। তবে অধিবেশনের শুরুতেই চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ করার ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সরকারকে এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন কংগ্রেস বিধায়করা। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার আলোচনার দাবি মানেনি। সাড়া মেলেনি স্পিকারের কাছ থেকেও।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র গরিমা মেহরা দাসাউনি এ বিষয়ে বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানকে হত্যা করা হল। অধিবেশনে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মানুষের দাবিদাওয়ার কথা তুলতে পারছেন না।’’