অভিযোগ, আরতিকে খুন করেছিলেন তাঁর বর সোনু এবং সোনুর এক বন্ধু। জামিনে ছাড়া পেয়ে মৃতা বৌকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পেলেন সোনু। প্রতীকী ছবি।
খুন হওয়ার ৬ বছর পর জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেল আরতি দেবীকে। ২৬ বছর বয়সি আরতি উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৬ সালে আরতিকে তাঁর বর সোনু সাইনি (৩২) এবং সোনুর বন্ধু গোপাল সাইনি (৩০) মিলে খুন করেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। জেল খেটে বেরিয়ে আসার পর দুই ‘খুনি’ আরতিকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পেলেন। রাজস্থানের দৌসা জেলা থেকে খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর। আরতির বাড়ি থেকে দু’টি আলাদা আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়। সোমবার আরতিকে আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোনুর সঙ্গে আরতির আলাপ হয় মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরে। ২০১৫ সালে বাড়িতে না জানিয়ে সোনুকে বিয়ে করেন আরতি। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই আরতি নিরুদ্দেশ হয়ে যান। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বৃন্দাবন থানায় সোনু-সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আরতির বাবা। পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করলে আরতির বাবা দাবি করেন, ওই দেহটি তাঁর মেয়ে আরতির। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোনু এবং তাঁর বন্ধু গোপালকে। সোনু এবং গোপালকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
সোনু বার বার পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি আরতিকে খুন করেননি। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকায় পুলিশ তাঁর কথা বিশ্বাস করেনি। পরে অবশ্য এলাহাবাদ হাই কোর্ট থেকে জামিনে পান সোনু এবং তাঁর বন্ধু গোপাল। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর সোনু এবং গোপাল দু’জনে মিলে আরতিকে খুঁজতে শুরু করেন। তাঁরা খোঁজ পান, রাজস্থানে আরও একটি বিয়ে করেছেন আরতি। খোঁজ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। আরতির কাছ থেকে দু’টি আধার কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি আধার কার্ডে দু’টি আলাদা জন্মতারিখ রয়েছে আরতির। সোমবার আরতিকে আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।